Advertisement

West Bengal Election 2026: ছাব্বিশে বাংলা জিততে BJP-র ভরসা ভূপেন্দ্র, বড় দায়িত্ব বিপ্লবকেও

ভূপেন্দ্র যাদবকে বিজেপির ভরসাযোগ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে দেখা হয়। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা ভোটে তিনি দলের নির্বাচনী দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই ভোটে বিজেপি এনডিএ জোটে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে। এরপর থেকেই তাঁকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ‘সংগঠনের ট্রাবলশুটার’  হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ভূপেন্দ্র যাদব ও বিপ্লব দেবভূপেন্দ্র যাদব ও বিপ্লব দেব
অশোক সিঙ্ঘল
  • নয়াদিল্লি,
  • 25 Sep 2025,
  • अपडेटेड 6:10 PM IST
  • কেন ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দেওয়া হল?
  • বিপ্লব দেবকে ত্রিপুরা থেকে দিল্লি হয়ে এবার বাংলায়
  • বাংলায় বিজেপির টার্গেট

বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে সম্ভবত ৬ অক্টোবর। বিহার মিটলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। ২০২৬ সালের ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। বাংলায় দুর্গাপুজোর আবহেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে নয়া দায়িত্ব ভাগ করে দিল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী দায়িত্বে কেন্দ্রের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে করা হল রাজ্য নির্বাচনী ইনচার্জ। তাঁর সঙ্গে সহ-ইনচার্জ হিসেবে থাকবেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব।

কেন ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দেওয়া হল?

ভূপেন্দ্র যাদবকে বিজেপির ভরসাযোগ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে দেখা হয়। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা ভোটে তিনি দলের নির্বাচনী দায়িত্ব সামলেছিলেন। সেই ভোটে বিজেপি এনডিএ জোটে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে। এরপর থেকেই তাঁকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ‘সংগঠনের ট্রাবলশুটার’  হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো কঠিন রাজ্যেও ভূপেন্দ্র যাদবকে পাঠানো হয়েছে। দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে দলকে জিতিয়েছেন। সংগঠন মজবুত করা থেকে শুরু করে বুথভিত্তিক কৌশল, প্রতিটি স্তরে তিনি নজরকাড়া কাজ করেছেন। ফলে বাংলার মতো জটিল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে তাঁকে আনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতে, জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ সামলাতে ও কঠিন মাটিতে রেজাল্ট আনতে ভূপেন্দ্র যাদবের দক্ষতার জুড়ি নেই।

বিপ্লব দেবকে ত্রিপুরা থেকে দিল্লি হয়ে এবার বাংলায়

সহ-ইনচার্জ হিসেবে থাকছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বামেদের ২৫ বছরের রাজত্ব ভেঙে বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন তিনিই। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সংগঠনের খুঁটিনাটি বোঝার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা দলের ভিতরে আলাদা করে নজর কেড়েছে। ২০২৪ এর আগে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ইনচার্জ ছিলেন বিপ্লব দেব। সেখানে দলের জয় নিশ্চিত করতে তাঁর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুধু তাই নয়, এরপর তাঁকে দেওয়া হয়েছিল দিল্লির সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল আসন, নিউ দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র, যেখানে বিজেপির প্রার্থী পারবেশ ভার্মা লড়েছিলেন সরাসরি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। সেই আসন থেকেও বিজেপির ঐতিহাসিক জয় দলের কাছে বড় সাফল্য। আরও একটি বড় প্লাস পয়েন্ট হল, বিপ্লব দেব বাংলায় কথা বলেন।

Advertisement

ফলে তাঁর রাজনৈতিক কৌশল ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে এবার কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি, পশ্চিমবঙ্গের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে।

বাংলায় বিজেপির টার্গেট

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় দাপট দেখালেও, বিজেপি ৭৭ আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠে। এবার ২০২৬ সালের ভোটকে সামনে রেখে বিজেপি আরও শক্তভাবে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে। ভূপেন্দ্র যাদব ও বিপ্লব দেবের মতো পরীক্ষিত দুই নেতাকে একসঙ্গে আনা সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement