Advertisement

Mamata Banerjee: 'দিল্লির বাঙালি কলোনিতে কাটা হয়েছে বিদ্যুৎ-জল', মমতার তোপে বিজেপি সরকার

দিল্লির জয়হিন্দ কলোনিতে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে নিশানা করে মমতা লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার যেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবার সেই বাংলা-বিরোধী অপচেষ্টাকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শুরু করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি।'

ফাইল চিত্র। ফাইল চিত্র।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 10 Jul 2025,
  • अपडेटेड 8:58 PM IST
  • দিল্লির জয়হিন্দ কলোনিতে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
  • সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা।

দিল্লির জয়হিন্দ কলোনিতে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে নিশানা করে মমতা লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার যেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবার সেই বাংলা-বিরোধী অপচেষ্টাকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শুরু করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি।'

ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? 

ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'নয়াদিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনি থেকে উঠে আসা একের পর এক ভয়ঙ্কর হেনস্থার ঘটনার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিচলিত। এই বসতি মূলত সেই বাংলাভাষী মানুষেরা তৈরি করেছেন, যাঁরা দিল্লিকে গঠন করার অসংগঠিত শ্রমশক্তির গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ।'

এরপরেই বিজেপিকে নিশানা করে মমতা লিখেছেন, 'শোনা যাচ্ছে, বিজেপি পরিচালিত সরকারের নির্দেশে তাঁদের জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এবং ইলেকট্রিসিটি মিটার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা নিজেদের টাকায় যে প্রাইভেট জলের ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা দিল্লি পুলিশ এবং আরএএফ-এর সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে একপ্রকার জবরদস্তি উচ্ছেদ চলছে, যদিও এই বিষয়ে গত ডিসেম্বরেও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দিল্লি পুলিশের হস্তক্ষেপের পর আদালতে এই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আশ্রয়, জল ও বিদ্যুৎ, এই মৌলিক অধিকারগুলো যদি এইভাবে পদদলিত করা হয়, তাহলে আমরা কীভাবে নিজেদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলে দাবি করব?'

মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে ১.৫ কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, যারা সম্মানের সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে সেই কথা জোরের সঙ্গে বলা যায় না, যেখানে বাংলাভাষীদের নিজের দেশেই অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেউ বাংলায় কথা বললে, তিনি বাংলাদেশি হয়ে যান না। ভাষা নির্বিশেষে তাঁরা ভারতেরই নাগরিক, যেকোনো ভারতীয় নাগরিকের মতোই সমান অধিকারসম্পন্ন।' তাঁর সংযোজন, 'পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার যেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবার সেই বাংলা-বিরোধী অপচেষ্টাকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শুরু করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশ থেকেও বাংলাভাষীদের উপর নিপীড়ন করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন সেই বিদ্বেষের ছায়া এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও।এই দেশেই বাংলার মানুষ যদি অনাহূত অতিথির মতো আচরণের শিকার হন, তাহলে আমরা চুপ করে থাকব না। বাংলা সমস্ত নির্যাতিত কণ্ঠের পাশে দাঁড়াবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সর্বত্র আওয়াজ তুলব।'

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement