বাম এবং কংগ্রেসের সম্পর্কে ফাটল? তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের বোঝাপড়া চলছে বলে দাবি তুললেন মহম্মদ সেলিম৷ কংগ্রেসকে বড়সড় হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের পাল্টা জবাব দিল কংগ্রেস। সিপিএমকে পাল্টা উত্তর দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি।
কী বলেছেন মহম্মদ সেলিম
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে একটি সভা থেকে এই মন্তব্য করেন মহম্মদ সেলিম। সভায় যদিও তৃণমূলকেই প্রথমে আক্রমণ করছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রসঙ্গ থেকেই তিনি চলে আসেন ইন্ডিয়া জোটের বিষয়ে। তিনি বলেন, 'ভোরের অন্ধকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ বিমানে রাহুল গান্ধির ঘরে গেলেন৷ আমরা বলছি চোর ধরো জেল ভরো৷ আর তখন রাহুলের পা ধরে গিয়ে বলছে দাদা আমাকে বাঁচাও৷'
এরপরেই কংগ্রেসের উদ্দেশে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বার্তা, 'কংগ্রেসকে বুঝতে হবে যে, ২০১১ সালে ওরা সমর্থন না করলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসত না। আর ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল ছয় মাসের মধ্যে কংগ্রেসকে লাথি মেরেছে। কেউ দেখে শেখে, কেউ ঠেকে শেখে।'
পাল্টা জবাব অধীরের
মহম্মদ সেলিমের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ তিনি বলেন, 'রাহুল গান্ধির পা যদি কেউ ধরতে যায় তাহলে কি রাহুল গান্ধি বলবেন ঘরে ঢুকো না?'
তিনি বলেন, 'আমরা যা বোঝার বুঝেছি। কিন্তু কেউ কারোর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তো আমরা তো তাঁকে তাড়াতে পারব না।'
'পারিবারিক মান অভিমানের ব্যাপার'
কংগ্রেস-সিপিএম-এর এই পারস্পরিক চাপানউতোর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'এটা ওদের পারিবারিক মান অভিমানের ব্যাপার৷ তবে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বাইয়ে একসঙ্গে বসে চা পান করাটা বাংলার বামপন্থী কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না৷'
শান্তনু সেনের বক্তব্য
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'ওরা এসবই করবে। তৃণমূল নিজের যোগ্যতা ফের প্রমাণ করে দেখাবে। আর কংগ্রেস, সিপিএমের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।'