চাকরি ফেরত না পেলে রাজ্যে আগুন জ্বলবে। হুঁশিয়ারি চাকরিহারাদের একাংশের। তাঁদের দাবি, চাকরি চলে গেছে। তাই বিদ্রোহ ছাডডা তাদের উপায় নেই। চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকে আন্দোলনের পথে হাঁটছেন। তবে তাঁরা আন্দোলন বা আবেদন করবেন না। সরাসরি বিদ্রোহ করবেন।
নেতাজি ইন্ডোরে ঢোকার আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি বলেই আজ চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার জনের।
তমলুক থেকে আসা চাকরিহারা সুব্রত শাসমল বলেন, 'এ কেমন বিচার হল। যোগ্যরা সুবিচার পেল না। সুপ্রিম কোর্টেও বিচার হল না। শুধুমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার জন্য অযোগ্যদের লিস্ট ও যোগ্যদের লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি। এরপর থেকে বিদ্রোহী আন্দোলন হবে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে। এরপর থেকে আর হবে না। যেভাবে সিপাহি বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ হয়েছিল সেরকম বিদ্রোহ হবে। গোটা রাজ্যে আগুন জ্বলবে।'
আর একজন শিক্ষক বলেন, 'আমরা যোগ্য। যাতে চাকরি ফিরে পাই, সেজন্য এখানে এসেছি। অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদের মেশানোর জন্য আজ এই অবস্থা। এখন আমাদের নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সেটা কীভাবে সম্ভব? ১০ বছর আগে যেরকম মেরিট আমাদের ছিল তা কি এখনও আছে? এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা পুরোনো চাকরি ছেড়ে এতে যোগ দিয়েছিলেন। অনেকে চাকরি করতে করতে পেয়েছিলেন। তাঁরাও যাননি। কিন্তু এখন তাঁরা পথে বসেছেন।'
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি যায় রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের। এঁদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এই রায়ে খুশি নন চাকরিহারা শিক্ষকরা। শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রায়ের সমাচোলনা করেন। জানান, শিক্ষকদের পাশে সরকার থাকবে। তারপরই তিনি জানান, ৭ তারিখ নেতাজি ইন্ডোরে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
এদিকে বৈঠকে কোন শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে এক প্রস্থ ঝামেলা শুরু হয়। চাকরিহারাদের অনেকে পাস পাননি বলে অভিযোগ করেন। যা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কড়া পুলিশি প্রহরায় চাকরিহারাদের নেতাজি ইন্ডোরের ভিতরে ঢোকানো শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কী আশ্বাস দেব সেদিকেই তাকিয়ে চাকরিহারারা।