Advertisement

Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদে রাষ্ট্রপতি শাসন চায় CPIM ও কংগ্রেসও? স্পষ্ট করল দুই দল

মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছে না সিপিএম, কংগ্রেসও। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনার পর সেখানে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পেশ করেন। তাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ আছে বলে সূত্রের খবর।

Aajtak Bangla
  • মুর্শিদাবাদ,
  • 05 May 2025,
  • अपडेटेड 1:56 PM IST

মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছে না সিপিএম ও কংগ্রেস। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনার পর সেখানে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পেশ করেন। তাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ আছে বলে সূত্রের খবর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যদিও জানান, এই সুপারিশের বিষয়ে তিনি অবগত নন। অন্যদিকে সিপিএম, কংগ্রেস সরাসরি রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশের বিরোধিতা করছে। অশান্তির পরিস্থিতি থাকলেও রাষ্ট্রপতি শাসনে লাভ হবে না বলে মত তাদের। দুই বিরোধী দলই একযোগে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলছে।

সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মতে, রাজ্যের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতা দায়ী হলেও, রাষ্ট্রপতি শাসন তার সমাধান নয়। তাঁর কথায়, 'এই রাজ্যের মানুষ অতীতেও রাষ্ট্রপতি শাসনের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেয়েছে। কাশ্মীরকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করেও সন্ত্রাস বন্ধ করা যায়নি। মণিপুরে ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকার পরও সাধারণ মানুষ বিপদের মুখে। তাই পশ্চিমবঙ্গের সমস্যার সমাধানও রাজ্য সরকারকেই করতে হবে।'

সেলিম আরও বলেন, 'রাজ্যপালের হাতে ক্ষমতা তুলে দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। শান্তি ফিরবে না, বরং সমস্যা গভীর হবে। অতীতে রাষ্ট্রপতি শাসনের অভিজ্ঞতা তারই সাক্ষ্য দেয়।'

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, 'রাজ্যপালের সুপারিশ সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদের অপব্যবহার। এটা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মৌলিক চেতনাতেই আঘাত। এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।'

তিনি স্পষ্ট করে দেন, কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ঠিকই, তবে গণতান্ত্রিক পথে। শুভঙ্করের বক্তব্য, 'এই সরকারের ব্যর্থতা জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবে। কোনও কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।'

তিনি আরও বলেন, '৩৫৬ অনুচ্ছেদ কেবলমাত্র তখনই প্রয়োগযোগ্য, যখন রাজ্যে সম্পূর্ণ সংবিধানিক বিপর্যয় ঘটে। কিন্তু রাজ্যপালের রিপোর্টে এমন কোনও প্রমাণ নেই। বরং এই পদক্ষেপের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গন্ধ স্পষ্ট।'

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই সুপারিশের বিরোধিতা করা হয়েছে। দলীয় নেতারা একে রাজ্যপালের ‘রাজনৈতিক অ্যাসাইনমেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

Advertisement

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। তবে সিপিএম ও কংগ্রেস- দুই দলই আপাতত রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশের বিরোধিতা করছে।

প্রসঙ্গত, আজ মুর্শিদাবাদ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

Read more!
Advertisement
Advertisement