Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গেল। ৮ জুলাই এক দফাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে বাংলায়। ১১ জুলাই নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। বুধবার রাজীব সিনহা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েই আজ ঘোষণা হয়ে গেল নির্বাচনের দিন। হাতে সময় আর একমাস। আজ থেকে চালু হয়ে গেছে আচরণ বিধি। মনোনয়ন পত্র জমা, রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করানো, সন্ত্রাস থেকে একাধিক বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটারে কটাক্ষ করে লেখেন, "সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা, বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যা। এই প্রথম একতরফাভাবে ভোট ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, উদ্দেশ্য স্পষ্ট। পঞ্চায়েত ভোটে কারও প্রাণ গেলে দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং কমিশনার।"
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'আমরা এর নিন্দা করছি, প্রয়োজনে কোর্টে যাব।'
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, '৩ হাজার পুলিশ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাগজের ব্যালট বাক্স রক্ষা করতে পারছে না, আর তারা এত বড় নির্বাচন একদফায় করে দেবে? নির্লজ্জতা, দখলদারির একটা সীমা থাকে।'
বৃহস্পতিবার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, "রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখা উচিত।" এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে অধীর চৌধুরী বলেছেন, "রাজ্য পুলিশের উপর কোনওভাবে ভরসা করা যাবে না। তারা তৃণমূলের দালালি করবে বলেও মনে করছেন তিনি।" যদিও এর পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, "কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের পরেও বিধানসভায় শূন্য পেয়েছিলেন তাঁরা। সিপিএম-এর সঙ্গে জোট করে শূন্য পেয়েছিলেন।"
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই প্রহসন শুরু হয়ে গেল। তবে আমরা এবার ছেড়ে দেব না।
প্রসঙ্গত, এবার এক দফাতেই হবে ভোটগ্রহণ। ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন পেশ করার সময়। ১৭ জুন স্ক্রুটিনি। ২০ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১১ জুলাই ভোটগণনার সম্ভাবনা।