২০১৬ সালের এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের ফলে প্রায় ২৬,০০০ চাকরি বাতিল হয়ে গেল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, দুর্নীতির দায়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের রক্ষা করতে গিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বলি দেওয়া হল।
অযোগ্যদের রক্ষায় বেআইনি পদক্ষেপ
বিজেপির অভিযোগ, ২০২২ সালের ৫ মে রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভা বেআইনিভাবে সুপারনিউমারারি পদ তৈরি করে। উদ্দেশ্য ছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রাপ্তদের রক্ষা করা। বিজেপি বিধায়কদের এক প্রতিনিধিদল এসএসসি ভবনে গিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবং যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার দাবি জানায়।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, রাজ্য সরকার যদি যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করত, তাহলে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাঁচানো যেত। তিনি দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়বেন।
বিচারব্যবস্থার পর্যবেক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, এসএসসি নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটি অবৈধ ছিল এবং এর কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ফলে, পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন করে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ প্রয়োজন
এই রায়ের পর শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্নীতিগ্রস্তদের রক্ষা করতে চেয়েছে, যা যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে চরম অন্যায়।