Advertisement

SSC Supreme Court: SSC-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল, ঠিক কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চূড়ান্ত রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি খারিজ হয়ে গেল।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 03 Apr 2025,
  • अपडेटेड 10:58 AM IST
  • এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চূড়ান্ত রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
  • প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো।

এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চূড়ান্ত রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি খারিজ হয়ে গেল।

হাইকোর্টের রায় ও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ
২০১৬ সালের এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা হাইকোর্ট পুরো প্রক্রিয়াটিই অবৈধ ঘোষণা করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। চাকরিহারা প্রার্থীরাও একাধিক মামলা করেন।

শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করা প্রায় অসম্ভব, কারণ আসল ওএমআর শিট পাওয়া যায়নি। ফলে কোন শিটকে বৈধ বলে ধরা হবে, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সিবিআইয়ের তদন্তেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। কিছু প্রার্থী সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন—এমন তথ্য আদালতের সামনে আসে।

নতুন পরীক্ষা ও বেতন ফেরতের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি খান্না জানতে চান, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কি না। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও নিয়োগ পেয়েছেন। তাই নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হলে প্রকৃত প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেল। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে।

রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া
রাজ্য সরকার আদালতে যুক্তি দিয়েছিল, এতজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে শিক্ষাব্যবস্থায় বিশাল সংকট দেখা দেবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জানিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তাই সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement