ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় যেভাবে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সূত্র মারফত জানা গেছে, এই হিংসায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অশান্তি, নিহত ৩
ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। সেখানে ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, যানবাহন ভাঙচুর এবং একাধিক স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এই হিংসায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
অনুপ্রবেশকারীদের উপর নজরদারির ঘাটতি, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন, সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের উপর পর্যাপ্ত নজরদারি করতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে বিদেশি দুষ্কৃতীরা রাজ্যে প্রবেশ করে হিংসা উসকে দিতে পেরেছে।
রাজনৈতিক উত্তেজনা, কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্বের আশঙ্কা
এই তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতেই নতুন করে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি শিবির থেকে দাবি উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না রাজনৈতিক স্বার্থে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত রক্ষার দায় কার?
ঘটনার পটভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে এসেছে—সীমান্ত সুরক্ষা এবং অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়ার দায়িত্ব কি শুধুই রাজ্যের? কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখার দাবি উঠছে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে।