বঙ্গোপসাগরে ফের সক্রিয় নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে গভীর নিম্নচাপ, যা মঙ্গলবারের মধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এর প্রভাবেই চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সমুদ্রে সতর্কতা, মৎস্যজীবীদের উপর নিষেধাজ্ঞা
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মে বুধবার থেকেই মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিলোমিটার। ২৯ মে বৃহস্পতিবার থেকে এই ঝোড়ো হাওয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলেও। সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে যে কোনও সময়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস
নিম্নচাপের জেরে সোমবার ও মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বুধবার থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়বে।
বুধবার: উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার: কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে (৭-১১ সেন্টিমিটার)।
শুক্রবার: হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে ভারী বর্ষণ।
শনিবার: বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগের সম্ভাবনা
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিও প্রবল বর্ষণের মুখে।
সপ্তাহান্তে: জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা।
শুক্রবার: উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও চলবে বৃষ্টিপাত।
বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা
কেরলে বর্ষা ঢুকেছে স্বাভাবিক সময়ের আট দিন আগেই। পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত প্রথমে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। আবহাওয়া দফতরের মতে, উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তা কার্যকর হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে প্রবেশ করবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এই বিষয়ে নিম্নচাপের গতিপথ ও শক্তির উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর রবিবার সর্বোচ্চ ছিল ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৩ ডিগ্রি কম।