বসন্তের শেষেই দক্ষিণবঙ্গে গরমের দাপট শুরু! আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৭ মার্চ থেকে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৭ মার্চ, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৭টি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহবিদদের মতে, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা শুষ্ক বায়ুপ্রবাহের কারণেই পারদ চড়ছে। আগামী পাঁচ দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৪ ডিগ্রি বেশি থাকবে তাপমাত্রা। এমনকি, পরবর্তী তিন দিনে আরও ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে।
রবিবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি পার করতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও পারদ থাকবে স্বাভাবিকের থেকে বেশ খানিকটা বেশি।
তাপপ্রবাহের মধ্যে সতর্কতা
শিশু ও বয়স্কদের দীর্ঘক্ষণ বাইরে না থাকার পরামর্শ।
হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
ছাতা বা টুপি ব্যবহার করতে হবে।
শরীরে জলশূন্যতা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন।
উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
যেখানে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলবে, সেখানে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা হতে চলেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
বুধ ও বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পংয়ে শুক্রবারও বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আগামী দুই দিন উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২-৩ ডিগ্রি কম থাকতে পারে, তবে তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে।
কত দিন চলবে এই আবহাওয়া?
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের প্রবণতা অন্তত এক সপ্তাহ চলতে পারে বলে অনুমান করছেন আবহবিদেরা। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাব পরবর্তী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
তাই আগামী কয়েকদিন রাজ্যের দুই প্রান্তে থাকবে সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির জন্য।