নিম্মচাপ এলাকা দুর্বল হলেও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার দুপুরের বিশেষ বুলেটিনে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব তেলেঙ্গানা এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ছত্তিসগড়-দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ ওড়িশা-উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর চিহ্নিত নিম্নচাপ অঞ্চলটি দুর্বল হয়েছে। এখন দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও পার্শ্ববর্তী বিদর্ভের উপর ঘূর্ণিঝড় হিসাবে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন দিনভর দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরের কিছু জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি কমতে চলেছে। ফলে শীতের শিরশিরে ভাব বাড়বে।
এদিকে স্থলভাগে ঢুকে শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত মিগজাউম। তেলঙ্গানা হয়ে ছত্তীসগড়ের দিকে সরবে নিম্নচাপ। বাংলায় বড় দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারের পর আকাশ পরিষ্কার হয়ে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি। মেঘ কাটলে মাঝ ডিসেম্বরে ঠান্ডার বাড়ার আশা।
উত্তরবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি হতে পারে মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। আগামী তিন-চার দিন উত্তরবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় শুক্রবারও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সিকিমে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তার প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিংয়ের পার্বত্য এলাকায়।
কলকাতায় আজ দিনভর বৃষ্টি হচ্ছে।শুক্রবারের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন, বেশ কয়েক ডিগ্রি পারদ পতনের ইঙ্গিত শনি ও রবিবার।