বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা থাকলেও, চলতি উৎসবের মরসুমে রাজ্যের বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। বরং দীপাবলি ও ভাইফোঁটার মতো আনন্দঘন উৎসব কাটবে ঝলমলে রোদ আর শুকনো আবহাওয়ার মধ্যেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর জেরেই আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে ওই এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
তবে পূর্বাভাস বলছে, এই নিম্নচাপ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেলেও, তার প্রভাব বাংলার মাটিতে তেমনভাবে পড়বে না। দীপাবলি ও ভাইফোঁটার দিনগুলোতে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকবে মূলত শুষ্ক ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া।
কোন জেলায় কেমন আবহাওয়া?
রবিবার দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায়, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটিও হবে খুবই বিক্ষিপ্তভাবে, দু-একটি জায়গায় সামান্য ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মাত্র।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টি একেবারেই নেই। কালীপুজোর দিন সোমবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই থাকবে পরিষ্কার আকাশ, হালকা কিছু মেঘ দেখা যেতে পারে। বুধবার-ভাইফোঁটাতেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। আকাশ থাকবে পরিষ্কার এবং তাপমাত্রাও থাকবে স্বস্তিকর।
উত্তরবঙ্গেও শুষ্ক থাকবে আবহ
রবিবার দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ সামান্য বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ির কিছু এলাকাতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গেও আকাশ থাকবে পরিষ্কার, সকালে কিছু এলাকায় সামান্য কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে তা কেটে যাবে।
কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই পূর্বাভাস?
উৎসবের মরসুম মানেই কালীপুজো, দীপাবলি ও ভাইফোঁটার প্রস্তুতি নিয়ে শহর থেকে গ্রামজুড়ে ব্যস্ততা। আতশবাজি, প্রদীপ, শাড়ি-জামাকাপড় থেকে শুরু করে মিষ্টি, সব কিছুতেই বাড়ে চাহিদা। এই সময় যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ভেস্তে যেতে পারে বহু মানুষের পরিকল্পনা এবং ব্যবসায়িক ক্ষতিও হয়।