আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনও নিম্নচাপ প্রভাবিত। শুক্রবারের পর শনিবারও সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে মেঘলা আকাশ। মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, এবং বাকি জেলাগুলোতে রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০–৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো বাতাস বইছে বিভিন্ন জায়গায়। পশ্চিম ঝাড়খণ্ড, দক্ষিণ বিহার, দক্ষিণ-পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর ছত্তিশগড়ের সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি ৪ অক্টোবর সকাল ৮.৩০ টা পর্যন্ত একই এলাকায় অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫.৮ কিমি উপরে বিস্তৃত, এবং উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে বিহারের দিকে অগ্রসর হতে পারে। পরবর্তী ১২ ঘন্টার মধ্যে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে।
ওড়িশার নিম্নচাপ বর্তমানে উত্তর ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিসগঢ় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি প্রথমে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে এবং ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে নিম্নচাপে পরিণত হবে, পরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
রবিবারও আংশিক বা পুরোপুরি মেঘলা থাকবে। সকালের পর থেকে সন্ধে পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
উত্তরবঙ্গের জন্য দুর্যোগ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় লাল সতর্কতা, যেখানে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ কমলা সতর্কতা, এবং কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা রয়েছে। মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে হলুদ সতর্কতা রয়েছে। সব জেলায় ৪০ কিমি পর্যন্ত দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে।
কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮৭–৯৭ শতাংশ এবং আজ সকালে ৬.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।