আবহাওয়া আজ, সোমবার কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে, তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় তেমন কোনও বড়সড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। রাজ্যের বেশ কিছু অংশে কুয়াশা দেখা গেছে। বিশেষ করে দিঘা, দুর্গাপুর, হলদিয়া ও তার আশপাশের এলাকায় কুয়াশা দেখা গেছে।
রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান দার্জিলিংয়ে আজও শীতের দাপট অব্যাহত রয়েছে। দার্জিলিং পিটিওতে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুরদুয়ারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গাঙ্গেয় অঞ্চলের কিছু স্থানে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে ছিল, তবে হিমালয় অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে ছিল।
একাধিক স্থান বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় এই তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দার্জিলিংসহ বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের প্রকৃত অনুভূতি স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে, যা পর্যটকদের জন্য একটি মনোরম পরিবেশ তৈরি করছে।
এদিকে, কলকাতাসহ একাধিক জেলায় এক সময়কার হাড়কাঁপানো ঠান্ডার পরিমাণ অনেকটা কমে গেছে। আসন্ন মকর সংক্রান্তি উৎসবের দিনেও সেই ঠান্ডা আর অনুভূত হবে না বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। গত কয়েকদিন তীব্র শীত থাকলেও রবিবার থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে, যার ফলে সংক্রান্তিতে ঠান্ডা পরার সম্ভাবনা নেই।
রবিবার থেকে তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব শুরু হয়েছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে, যা কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।
পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও কুয়াশার দাপট থাকবে, তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। কলকাতা শহরের আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেকটা বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫০ থেকে ৯৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।