West Bengal Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কালবৈশাখীর পরিস্থিতির সম্ভাবনা। বুধবার মাঝরাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা, কলকাতা ও তৎসংলগ্ন জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে রয়েছে কমলা সতর্কতা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমান অন্যান্য সব জেলায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে আজ। ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এই মুহূর্তে উত্তর-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পাশাপাশি একটি অক্ষরেখা ঝাড়খণ্ড থেকে দক্ষিণবঙ্গ হয়ে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে মূলত দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি বাড়বে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া চলবে। এদিকে, বুধবার মধ্যরাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে শিলাবৃষ্টির ও সতর্কতা রয়েছে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ দিন অর্থাৎ আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে, ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টিপাতের প্রভাবে দুই বঙ্গের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার সম্ভাবনা থাকছে। কলকাতার ক্ষেত্রে আগামী ৩-৪ দিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।
শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে ঝড় বৃষ্টির সতর্কতা আছে। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু এলাকায় ফসল ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কাঁচা বাড়ি।
দক্ষিণবঙ্গে বুধবার ও বৃহস্পতিবারেও ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি। শুক্রবার ২২ মার্চ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে দক্ষিণবঙ্গে।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজ থেকে বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গে। তবে বৃষ্টি ক্রমশ বাড়বে আগামী কাল থেকে। সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ঘূর্ণাবর্ত। ঝাড়খণ্ড থেকে অসম পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে একটি অক্ষরেখা রয়েছে।