West Bengal Weather: রেহাই নেই গরম (Summer) থেকে। রাজ্যজুড়ে জ্বালাময়ী গরমে হাঁসফাঁস দশা। ছিটেফোঁটা বৃষ্টির লেশমাত্র নেই। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha) আজ আরও শক্তি বাড়িয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। মূলত ১৪ তারিখ দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ কক্সবাজার এবং দক্ষিণ-পূর্ব মায়ানমারের চাকিউ এক মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে যাবে, বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
শনিবার এর গতিপথ উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিক থেকে পাল্টে হবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। ঝড়ের সময় হাওয়ার গতিবেগ প্রায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি ঘণ্টা হবে। মূলত ১৪ তারিখ দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ কক্সবাজার এবং দক্ষিণ-পূর্ব মায়ানমারের চাকিউয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে যাবে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে। শুক্র থেকে রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ত্রিপুরা এবং মিজোরামেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনও প্রভাব আমাদের রাজ্যে পড়বে না বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলিতে যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা ছিল তাই থাকবে। তবে ১৩ তারিখ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এদিন তাপমাত্রা খানিকটা কমবে।
আবহাওয়া অফিস এ-ও জানিয়েছে, আগামী ১৫ এবং ১৬ তারিখ আবারও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। ফের তাপপ্রবাহ সর্তকতা জারি করতে পারে আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া ও মালদায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি রয়েছে। কলকাতায় বৃহস্পতিবার কিছুটা তাপমাত্রা কম হয়েছে। তাই তাপপ্রবাহের যে সতর্কতা জারি ছিল সেই সতর্কতা সরিয়ে নিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বৃষ্টি কোথায় কোথায়?
আজ থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত উপকূলের ৩ জেলায় উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। তবে রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূম ছাড়া রাজ্যের আর কোনো জেলায় আপাতত আর তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে না। ১৩ মে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে ১৫ মের পর থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।