
ক্রমেই টের পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ। শহর কলকাতায় শীতের আমেজ এখনও সেই ভাবে টের পাওয়া না গেলেও জেলা জেলায় তাপমাত্রা নামছে। আর তার কারণে রাতে ও সকালে মিলছে শীতের আমেজ। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নেমেছে ২০ ডিগ্রির নীচে। রাতের ও সকালের দিকে রীতিমতো শীত অনুভূত হচ্ছে। বর্তমানে তাপমাত্রা খুব বেশি পরিবর্তন হবে না, তবে সপ্তাহান্তে শীতের অনুভূতি একটু বাড়তে পারে।
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ এখন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি দক্ষিণ বাংলাদেশ সংলগ্ন উপকূলে অবস্থান করবে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ছুঁয়ে ক্রমশ বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হবে। যার জেরে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী দিন পাঁচেক দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের না হলেও আবহাওয়া শুষ্ক হবে এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমবে। বৃহস্পতিবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর পাশাপাশি দক্ষিণ বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী দু’দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। রাতে ও সকালে শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায়। শুক্র ও শনিবারের মধ্যে দার্জিলিংয়ের রাতের তাপমাত্রা নামতে পারে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রিতে।