ডিসেম্বরের শেষেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী চার দিন গোটা রাজ্যে রাতের তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ বছরশেষের আগে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার দক্ষিণের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বড়দিনে দার্জিলিঙে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় কুয়াশার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব ও তাপমাত্রার পরিবর্তন
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম ভারতে শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর নতুন একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে রাজস্থানের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত এবং উত্তর-পশ্চিমে থাকা জেট স্ট্রিম উইন্ড দক্ষিণবঙ্গের উপর প্রভাব ফেলবে। এর ফলে তাপমাত্রার পারদ আরও উর্ধ্বমুখী হবে। যদিও আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে বুধবারের মধ্যে তা ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে তুষারপাত ও ঘন কুয়াশার পরিস্থিতি
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় রবিবার সকালে ঘন কুয়াশার চাদর দেখা গেছে। বিশেষত দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং মালদহ জেলায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিঙে সোমবার হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি সিকিমে তুষারপাতের প্রভাব দার্জিলিং সংলগ্ন এলাকায় পড়বে।
দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশা ও আকাশের অবস্থা
দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকলেও বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে বড়দিন ও বর্ষশেষে দক্ষিণবঙ্গে শীতের কনকনে পরিবেশ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
সমুদ্রের গভীর নিম্নচাপ শক্তি হারাচ্ছে
আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একটি গভীর নিম্নচাপ সমুদ্রেই শক্তি হারিয়ে ফেলছে। তবে নতুন ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের শীত আবারও বাধাপ্রাপ্ত হবে।
শীতপ্রেমী বঙ্গবাসীর কাছে বড়দিন ও বর্ষশেষে শীত উপভোগ করার আশার মধ্যে বড় ধাক্কা দিয়েছে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তবে নতুন বছরের প্রথম দিকে শীতের আমেজ ফিরে আসবে কিনা, তা এখন সময়ই বলবে।