
ভারতীয় নাগরিক, যাঁদের ভোটাধিকার রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই রয়েছে EPIC নম্বর। এর অর্থ Elector's Photo Identity Card (EPIC)। এটি জন্মের প্রমাণপত্র হিসেবে বহু ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
কী এই EPIC নম্বর?
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, ১৮ বছর অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হলেই ভোটাধিকার দেওয়া হয় একজন নাগরিককে। ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেন সেই প্রাপ্তবয়স্ক। নাম উঠলেই মিলবে ভোটার কার্ড। যা ভোট দেওয়ার ছাড়পত্র। এই ভোটার কার্ডেই থাকে EPIC নম্বর। নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রতিটি ভোটারের জন্য এই EPIC নম্বর দেওয়া ভোটার কার্ড ইস্যু করা হয়। EPIC নম্বরটি হল ১০টি অক্ষরের একটি আলফানিউমেরিক কোড। এটি নির্দিষ্ট ভোটারকে শনাক্ত করে।
EPIC নম্বরের কাজ কী?
EPIC নম্বরের প্রয়োজন পড়ে যখন নতুন ভোটার কার্ডের আবেদন করতে হয় বা ভোটার তালিকায় নাম যাচাই করতে হয়। এই নম্বর থেকেই ডেটাবেস মিলিয়ে নেওয়া হয়। ভোটার কার্ডের উপরে বাঁ দিকে থাকে এই EPIC নম্বর। যেটি ১০ অক্ষরের একটি আলফানিউমেরিক কোড। ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে এই EPIC নম্বরই কাজে আসবে। ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টাল (NVSP) থেকে নামিয়ে নেওয়া যেতে পারে e-EPIC। তাছাড়া নিকটবর্তী লোকাল ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে গিয়ে যোগ্য পরিচয়পত্র দেখিয়েও নতুন কার্ড ইস্যু করা যায়। সেক্ষেত্রেই প্রয়োজন পড়ে EPIC নম্বরের। আবার EPIC নম্বর মনে না থাকলে ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টাল (NVSP)-এ গিয়ে ‘Search Your Name in Electoral Roll’ অপশনে ক্লিক করে নাম, বয়স, জেলা এবং রাজ্যের নাম দিলেই চলে আসবে নম্বরটি।
EPIC নম্বর SIR-এর ক্ষেত্রে কীভাবে কাজে লাগবে?
ভোটার কার্ড যদিও SIR-এর জন্য কমিশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নথিগুলির মধ্যে প্রযোজ্য নয়। তবে EPIC নম্বর লাগবে নির্বাচন কমিশনের পোর্টাল বা ওয়েবসাইটে সাইন আপ করার জন্য। সেক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরের বদলে দেওয়া যেতে পারে EPIC নম্বর। আবার SIR-এর এনুমারেশন ফর্মে আপনার EPIC নম্বর ছাপা থাকবে। ফিল আপের ক্ষেত্রেও একটি কলাম রয়েছে, যেখানে বাবা-মায়ের EPIC নম্বর দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক।