নজরকাড়া ফলাফল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে আরও ২ জন ৩ বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন। তাঁরা হলেন জ্যোতি বসু ও বিধানচন্দ্র রায়। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও ৩ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তবে প্রথমবার পূর্ণ সময়ের জন্য নয়।
বিধানচন্দ্র রায় : পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় কংগ্রেস দলের এই নেতা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১ জুলাই ১৯৬২ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। জীবিত অবস্থায় শেষদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। আধুনিক পশ্চিমবঙ্গের রূপকার বলা হয় ডা. বিধানচন্দ্র রায়কে। তাঁর মৃত্যুদিনকে আজও চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
জ্যোতি বসু : টানা ২৩ বছর ১৩৭ দিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলেন এই আসনে। ২০০০ সালের ২৮ জুলাই সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই বছরই ৬ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অবসর নেন তিনি। তারপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য: ৬ নভেম্বর ২০০০–- ১৩ মে ২০১১ পর্যন্ত রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে প্রথমবার তিনি পূর্ণ সময়ের জন্য ছিলেন না। জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। এরপর ২০০১ ও ২০০৬ সালে পরপর ২ বার মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হয় বামফ্রন্ট। মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় বুদ্ধবাবুকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। তারপর ২০১৬ ও ২১ সালে ফের রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরের ২ বারই মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এই রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।