Advertisement

ঘূর্ণিঝড়কে বশ করতে পারেন ইনি, নাম 'সাইক্লোন ম্যান'

মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। বর্তমানে তিনি ভারতীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান৷ আর তাঁকেই বলা হয় 'সাইক্লোন ম্যান'।

মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 22 May 2021,
  • अपडेटेड 7:59 PM IST
  • ভারতের সাইক্লোন ম্যান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র
  • কথায় আছে ঘুর্ণিঝড়কে বশ করতে পারেন তিনি

মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। বর্তমানে তিনি ভারতীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান৷ আর তাঁকেই বলা হয় 'সাইক্লোন ম্যান'। এই নামেই গোটা বিশ্বে পরিচিত মৃত্যুঞ্জয়বাবু। অনেকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়কে বশ করতে পারার ক্ষমতা রয়েছে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর মধ্যে। তিনি যেখানে ভবিষ্যৎবাণী করেন, ঠিক সেখানেই ঝড় আছড়ে পড়ে। তাই তো তাঁকে 'সাইক্লোন ম্যান' বলা হয়।  

পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর মৃত্যুঞ্জয় ডিআরডডিও-তে যোগ দেন জুনিয়র ফিজিসিস্ট হিসেবে। ১৯৯২ সালে পুণের আইএমডি-র অফিসে যোগ দেন তিনি। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন। ২০১৯ সালে মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এখনও সেই পদেই কর্মরত।

কেন সাইক্লোন ম্যান বলা হয়? 

ফাইলিন, তিতলি, মেকুনু, ফণি, আয়লা, আমফান- একের পর এক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে দেশে। আর এই সব ঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় ও তাঁর টিম। 

বেশ কয়েকবছর আগে পর্যন্ত ভারতীয় আবহাওয়া দফতরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত না। কিন্তু, মৃত্যুঞ্জয়বাবুর চেষ্টায় আধুনিক হয়ে ওঠে আবহাওয়া দফতর। ২০০৭ সালের আগে ভারতীয় আবহবিদদের পক্ষেও ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হত না৷ কিন্তু আধুনিকীকরণের জেরে ২০০৯ সাল থেকে নির্ভুল এবং বিস্তারিত পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হয়। পুরো কৃতিত্বই এই 'সাইক্লোন ম্যান' -এর। 

মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রর কৃতিত্বকে কুর্ণিশ করে গোটা বিশ্ব। তিনি বিশ্ব আবহ বিজ্ঞান সংগঠন বা WMO-তে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন৷ ২০১৩ সালে WMO-এর সদস্য হিসেবেও তিনি নির্বাচিত হন৷

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement