Advertisement

যাদবপুরে সাংবাদিকতায় PG Diploma কোর্স কেন বন্ধ হল? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in

পড়ুয়ার অভাবে এ বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স চালু হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা এই কোর্সটি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে ১৯৮৯ সাল থেকে চলে আসা এই জনপ্রিয় কোর্সে এক বড় ছেদ পড়তে চলেছে। এটি সাময়িক বিরতি, না কি স্থায়ী বন্ধ, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন শিক্ষামহলের একাংশ।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 16 Dec 2025,
  • अपडेटेड 11:56 AM IST
  • পড়ুয়ার অভাবে এ বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স চালু হচ্ছে না।
  • দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা এই কোর্সটি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

পড়ুয়ার অভাবে এ বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স চালু হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা এই কোর্সটি আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে ১৯৮৯ সাল থেকে চলে আসা এই জনপ্রিয় কোর্সে এক বড় ছেদ পড়তে চলেছে। এটি সাময়িক বিরতি, না কি স্থায়ী বন্ধ, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন শিক্ষামহলের একাংশ।

আবেদন কম

চলতি বছরে পিজি ডিপ্লোমা ইন মাস কমিউনিকেশনের আবেদন গ্রহণ শেষ হয় ৩ ডিসেম্বর। মোট আসন ছিল ৫০টি, কিন্তু আবেদন জমা পড়ে মাত্র ৬০টি। অভিজ্ঞতা বলছে, আবেদনকারীদের একাংশই শেষ পর্যন্ত ভর্তি হন। সেই হিসেবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পড়ুয়া পাওয়া যাবে না, এই আশঙ্কায় এ বছর কোর্সটি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

এই কোর্সটি পরিচালনা করে ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ, ল’ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইএসএলএম) ফ্যাকাল্টির অধীন অ্যাডাল্ট অ্যান্ড কন্টিনিউইং এডুকেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন বিভাগের স্কুল অব মিডিয়া কমিউনিকেশন অ্যান্ড কালচার। আইএসএলএম-এর ডিন পার্থসারথি চক্রবর্তী জানান, 'আশাব্যঞ্জক সংখ্যায় আবেদন না পড়ায় আমরা এ বছর কোর্সটি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে দুবছরের মাস্টার্স কোর্সটি চলবে।' 

চলতি বছরে আবেদন কত?

একসময় এই কোর্সে ১৪০ থেকে ১৫০ জন পর্যন্ত পড়ুয়া ভর্তি হতেন। পরে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা কমে ৭০-৮০-তে নেমে আসে। গত বছর ভর্তি ছিলেন প্রায় ৫০-৫৫ জন। আর এ বছর আবেদনই পড়েছে মাত্র ৬০টি। যেহেতু এটি একটি স্ব-অর্থায়িত (সেলফ-ফিনান্সড) কোর্স, তাই পর্যাপ্ত পড়ুয়া না হলে তা চালানো আর্থিকভাবে সম্ভব নয় বলেই মত বিভাগের।

সমস্যা কোথায়?

কোর্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সুবীর ঘোষ মনে করেন, সাংবাদিকতা মূলত ব্যবহারিক বিষয়। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'কমপক্ষে ৫০ শতাংশ প্র্যাকটিক্যাল থাকা দরকার। নতুন প্রযুক্তি শেখানো জরুরি, আর পড়ানোর সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকদের যুক্ত করা প্রয়োজন। সম্ভবত এই ঘাটতিগুলির কারণেই পড়ুয়ারা আগ্রহ হারাচ্ছেন।' 

Advertisement

আরও অভিযোগ

এছাড়াও বিগত কয়েক বছরে বিভাগকে ঘিরে একাধিক বিতর্কও পড়ুয়াদের আস্থায় প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপত্র না দেখেই নম্বর দেওয়ার অভিযোগ, পুনর্মূল্যায়ন, ফাইনাল মার্কশিট পেতে দেরি। এই সব অভিজ্ঞতা সিনিয়রদের থেকে শুনে নতুন পড়ুয়ারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। এর প্রভাব পড়তে পারে ২০১৭ সাল থেকে চালু হওয়া মাস কমিউনিকেশনের এমএ কোর্সের ভবিষ্যতের ওপরও। এমন আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement