কৃষ্ণনগরকাণ্ডে খুলে ফেলা হল পুজোর প্যান্ডেল। সরিয়ে নেওয়া হল সমস্ত সামগ্রী। এমনই চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা পরল। কেন এত তাড়াহুড়ো করে সরানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। উল্লেখ্য, ওই মণ্ডপ চত্বর থেকেই তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
নদিয়ার কৃষ্ণনগরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য দানা বেঁধেছে। যে পুজো মণ্ডপের কাছ থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই মণ্ডপটি খোলা হল। তবে তার আগে তথ্যপ্রমাণ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নিয়ে গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। প্রথমে পুলিশ পাহারা থাকলেও তদন্তকারী অফিসাররা সেইসব প্রমাণ নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ পাহারা তুলে নেয়। এবার হঠাৎ দেখা গেল পুলিশের নির্দেশে পুজো মণ্ডপটি খুলে ফেলা হল। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলে ফেলা হল CCTV ক্যামেরাগুলিও। প্যান্ডেল খোলার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল।
পুজো মণ্ডপটি খুলে ফেলা হয়েছে প্রশাসনের নির্দেশে। গত ১৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে মন ভারাক্রান্ত ছিল। তবে প্যান্ডেল খুলে নেওয়ার পর খানিকটা স্বাভাবিক লাগছে স্থানীয়দের। তবে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারেনি। তার আগেই এত তাড়াহুড়ো কেন করল পুলিশ-প্রশাসন?
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের ৫০০ মিটার দূরেই উদ্ধার করা হয় অর্ধনগ্ন তরুণীর দেহ। রাস্তায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তরুণীর মুখ পুড়ে যাওয়ায় শনাক্তকরণ করতে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। পরে তরুণীর দিদিমা, মাসি এবং দাদু থানায় গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। পরিবারের দাবি, মেয়ের প্রেমিক ও তার বন্ধুরা ধর্ষণ করে খুন করেছে। অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগুনে পুড়েই কৃষ্ণনগরের তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে তরুণীর দেহে কোথাও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট। তরুণীর গায়ে যখন আগুন লেগেছিল তখনও তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁর শ্বাসনালী থেকে মিলেছে কার্বন। যা আগুনের ধোঁয়া থেকে উৎপন্ন হয়েছে। কিন্তু ময়না তদন্তে রিপোর্টে বিষয়টি আগুন লেগে মৃত্যু নাকি নিছক আত্মহত্যা বা কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলা হয়নি।