
শনিবার রাতে শুটআউট বীরভূমের নলহাটিতে। এক যুবতীকে লক্ষ্য করে পর পর চারটে গুলি চলে বলে অভিযোগ। গুরতর জখম অবস্থায় যুবতীকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত যুবতীর নাম সীমা খাতুন। ঘটনায় শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, সীমা নলহাটি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বিদু পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর ওই এলাকায় একটি বিউটি পার্লার রয়েছে। এ দিন কাজ শেষে পার্লার বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তখন কেউ বা কারা তাঁকে অনুসরণ করে বলে অভিযোগ। বাড়ি ঢোকার সময়েই সুযোগ বুঝে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় বলে দাবি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনটি গুলি চলার আওয়াজ শোনা গিয়েছে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর চারটি গুলি লেগেছে। দু’টি গুলি লাগে হাতে, দু’টি কোমরে। কে বা কারা তাকে গুলি করল, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আহত সীমা খাতুন নলহাটি আট নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বিদুপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বিউটি পার্লারের মালিক। প্রতিদিনের মতো পার্লার বন্ধ করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কেউ বা কারা তাঁকে অনুসরণ করছিল। বাড়ির দরজায় পৌঁছতেই আচমকাই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর উপর পরপর চারটি গুলি ছোঁড়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে— দুটি গুলি তাঁর হাতে এবং দুটি কোমরে লেগেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তাঁরা তিনটি গুলির শব্দ শুনেছেন, তবে হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে যে সীমা চারটি গুলিতেই জখম হয়েছেন। ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা। প্রাথমিক অভিযোগের তীর সীমার স্বামীর দিকেই উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হামলাকারীরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে তাঁকে টার্গেট করেছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নলহাটির শান্ত পরিবেশে এই শুটআউট ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, এলাকায় আগে কখনও এমন ঘটনা দেখা যায়নি। পুলিশের কড়া নজরদারির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
সংবাদদাতা-শান্তনু হাজরা