Advertisement

Lakshmir Bhandar:'লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না', মুর্শিদাবাদের মহিলারা চাইছেন নিরাপত্তা

চোখেমুখে আতঙ্ক। উড়েছে রাতের ঘুম। কারও চোখের কোণায় টলমল করছে জল। কেউ আবার অশ্রু সামলাতে না পেরে হাউহাউ করে কেঁদেই ফেলছেন। হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের এলাকায় মানুষের হাহাকারের এমন ছবিই প্রকাশ্যে আসছে। আর এমন দুর্দশার মধ্যেই রাজ্য সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'-এর প্রয়োজন নেই বলে গর্জে উঠলেন গ্রামের মহিলারা। বললেন, 'আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না, মমতাকে চাই না, দুয়ারে সরকার চাই না...।' শুধু বললেন, 'নিরাপত্তা চাই।'

নিরাপত্তা চেয়ে গর্জে উঠলেন মহিলারা।নিরাপত্তা চেয়ে গর্জে উঠলেন মহিলারা।
Aajtak Bangla
  • মুর্শিদাবাদ,
  • 19 Apr 2025,
  • अपडेटेड 2:57 PM IST
  • হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের এলাকায় মানুষের হাহাকারের নানা ছবি প্রকাশ্যে আসছে।
  • 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'-এর প্রয়োজন নেই বলে গর্জে উঠলেন গ্রামের মহিলারা।
  • বললেন, 'আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না, মমতাকে চাই না, দুয়ারে সরকার চাই না...।'

চোখেমুখে আতঙ্ক। উড়েছে রাতের ঘুম। কারও চোখের কোণায় টলমল করছে জল। কেউ আবার অশ্রু সামলাতে না পেরে হাউহাউ করে কেঁদেই ফেলছেন। হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের এলাকায় মানুষের হাহাকারের এমন নানা ছবিই প্রকাশ্যে আসছে। আর এমন দুর্দশার মধ্যেই রাজ্য সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'-এর প্রয়োজন নেই বলে গর্জে উঠলেন গ্রামের মহিলারা। বললেন, 'আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না, মমতাকে চাই না, দুয়ারে সরকার চাই না...।' শুধু বললেন, 'নিরাপত্তা চাই।'

শনিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের বিভিন্ন হিংসা বিধ্বস্ত গ্রামগুলিতে মানুষের হাহাকার আর ক্ষোভের নানা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন মুর্শিদাবাদে হিংসা কবলিত এলাকায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের কাছে নিজেদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে কেউ কেঁদে ফেলেছেন, আবার কেউ প্রাণ রক্ষা করতে নিরাপত্তার কাকুতি-মিনতি করেছেন। রাজ্যপালের আগে এদিন সকালে মুর্শিদাবাদে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও। তাঁদের কাছেও নিজেদের প্রাণরক্ষার আর্জি জানান দুর্দশাগ্রস্ত মানুষগুলো। গ্রামে বিএসএফের ক্যাম্প পাকাপাকি ভাবে যাতে থাকে, সেই দাবিও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে জানাতে দেখা গিয়েছে ওই বাসিন্দাদের। আবার কেউ দাবি করেছেন, এনআইএ তদন্তের। আর এর মধ্যেই একপ্রকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের প্রকাশ দেখা গিয়েছে ওই বাসিন্দাদের মধ্যে। 

এদিন হিংসা কবলিত এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা ক্ষোভের সুরে বললেন, 'আমরা আতঙ্কিত। লুঠপাঠ করেছে। আমরা ভয়ে আছি। আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না। মমতাকে চাই না। দুয়ারে সরকার চাই না। রাতে ঘুমোতে পারছি না। আমরা বিএসএফের ক্যাম্প চাই।' একই সুর শোনা গিয়েছে, গ্রামের অন্য মহিলাদের গলাতেও। ঘরকন্নার কাজ ছেড়ে প্রাণরক্ষার দাবিতে হাতে পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। গলায় যেমন ক্ষোভের সুর, তেমনই চোখমুখে ভয়-আতঙ্কের ছাপ। মনের কোণায় হিংসার মতো ঘটনার ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা স্পষ্ট। আর এই আবহে তাঁদের একটাই দাবি, 'আর কিছু চাই না। নিরাপত্তা দেওয়া হোক।'

Advertisement

রাজ্যের মসনদে বসার পর মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাম-বাংলায় এই প্রকল্প বিশেষ ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবাদেই ভোটবাক্সে মমতা সরকারের ভিত আরও মজবুত হয়েছে। এমনকী, এ রাজ্যের দেখাদেখি দেশের অন্য রাজ্যেও লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্প চালু হয়েছে। এবার সেই জনপ্রিয় প্রকল্পে নিজেদের অনিচ্ছার প্রকাশ যে ভাবে করলেন মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকার মহিলারা, তা উল্লেখযোগ্য। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনা এবং তার ঘটনাক্রম গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে গ্রামের মহিলারাই 'লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না' বলে সরব হচ্ছেন, তা রাজ্য রাজনীতিতে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। 
 

Read more!
Advertisement
Advertisement