Advertisement

Jal Jeevan Mission: রাজ্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে ঢিমেতালে, কেন? জানাল কেন্দ্র

দেশের প্রতিটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো জল জীবন মিশনের কাজ শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কাজ আশানরূপ ভাবে এগয়নি। বরং এই কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছে বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

Jal Jeevan MissionJal Jeevan Mission
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 01 Oct 2025,
  • अपडेटेड 6:55 PM IST
  • পশ্চিমবঙ্গে কাজ আশানরূপ ভাবে এগয়নি
  • কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছে বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার
  • ২০২৪ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল

দেশের প্রতিটি বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো জল জীবন মিশনের কাজ শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কাজ আশানুরূপভাবে এগোয়নি। বরং এই কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছে বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। যদিও সেটা সম্ভব না হওয়ায় ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজেট বক্তৃতায় এই ঘোষণাটি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ বাড়িতে নলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য বলে জানান তিনি। এর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ৬৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।

সম্প্রতি এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে মে মাসে গঠিত ১০০টি দলের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই রিপোর্টেই একাধিক ত্রুটির কথা উঠে এসেছে।

কী কী ত্রুটি? 
তদন্তকারীর দলগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রকল্পের অধীনে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। যেমন ধরুন-

  • অনেক ঠিকাদার নিম্মমানের কাজ করছেন। যার ফলে সেই সব জায়গায় অর্থপ্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
  • কোভিডের সময় উপকরণের দাম কমে গিয়েছিল। কিন্তু তখনও অনেক বেশি দামে জিনিস কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে।
  • থার্ড পার্টি এজেন্সিগুলি অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক ঠাক কাজ করেনি বলে অভিযোগ।

তবে কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের দিকে এ বিষয়ে আঙুল তোলা হয়নি।

বিস্তারিত তদন্ত হয়েছে
১০০টি বিশেষ দল গঠন করা হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তাঁরা ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৩৫টি জেলার ১৮৩টি প্রকল্পের উপর তদন্ত চালায়। এই দলে ৭৫ জন যুগ্ম সচিব ও ১০৬ জন পরিচালক ছিলেন। এই দলের সমস্ত সদস্যকে দেওয়া হয় বিশেষ ট্রেনিং, যাতে তাঁরা সঠিক ভাবে তদন্ত করতে পারে। আর এই দলই তদন্ত করে সম্প্রতি রিপোর্ট জমা দেয়।

কী পাওয়া গেল রিপোর্টে? 
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রকল্পের ৮১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যে পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। পাঞ্জাব, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশসহ মোট ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা গিয়েছে।

অন্যদিকে বিরোধীরা যেই সকল রাজ্যে রয়েছে, যেমন পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ঝাড়খণ্ডে কাজ চলছে ঢিমেতালে। এছাড়া এনডিএ শাসিত রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশেও খুবই ধীর গতিতে চলছে কাজ বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় দলের। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement