যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে আত্মঘাতী যুবতী। তিনি গর্ভবতী ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সঙ্গম করেন যুবক। একাধিকবার। তার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন যুবতী। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, ওই যুবকের অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এমনকী ম্যারেজ রেজিস্ট্রিও সেরে ফেলেছে। তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নেন যুবতী।
ঘটনা মালদার মানিকচকের। চাঁচল কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। এখন বিএড পড়ার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। প্রায় ৬ বছর ধরে পাশের গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যুবতীর। প্রথমে বন্ধুই ছিল তারা। আর সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণতি পায়। যুবক-যুবতীর মেলামেশার কথা দুই পরিবারের লোকজনই জানত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
অভিযোগ, কয়েকদিন আগে থেকে ওই যুবক অবজ্ঞা করছিলেন যুবতীকে। কিন্তু তার আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সঙ্গম করেন যুবক। প্রেগনেন্ট হয়ে যান যুবতী। সেই কথা যুবককে জানিয়েওছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই যুবক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাতে সম্মতি দেননি যুবতী। তখনই সেই যুবতী জানতে পারেন, তাঁর প্রেমিক অন্য কাউকে ভালোবাসে। এমনকী বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রিও সেরে ফেলেছে।
গোটা ঘটনা জানার পর যুবতী তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। অভিযোগ, সোমবার রাতে যুবতীকে ডেকে পাঠান যুবকের পরিবারের সদস্যরা। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। করা হয় অপমানও। তারপর বাড়ি ফিরে আসেন যুবতী।
ওই যুবকে যে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিলেন, তার প্রমাণ স্বরূপ যুবতী ফেসবুকে একাধিক ছবি আপলোড করেন। দুজনকেই ঘনিষ্ঠ অবস্থায় সেই ছবিতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি যে প্রেগন্যান্ট তার প্রমাণ হিসেবে প্রেগনেন্ট কিটের ছবি আপলোড করেন।
মৃতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পিছনে বাগান থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েকে প্রথম ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাবা। ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও। তাঁর মৃত্যুর জন্য তিনি যুবককে দায়ি করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা।