মোমবাতি আর টুনি বাল্ব এর রঙিন আলোয় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপ। তাই দীপাবলীর আগে বিপন্ন মালদার মৃৎশিল্পীরা। একদিকে করোনা। অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান রংবেরঙের টুনি বাল্ব এবং মোমবাতির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আধুনিক সমাজের কাছে।এক সময় কালীপুজো এবং দীপাবলীর আগে এই মাটির প্রদীপের চাহিদা থাকতো তুঙ্গে। তাই পুজোর আগে খাওয়া-দাওয়া ভুলে মালদা জেলার বিভিন্ন কুমারটুলিতে, কুমোরেরা মেতে থাকতেন বিভিন্ন ধরনের মাটির প্রদীপ তৈরীর কাজে। নাওয়া খাওয়ার সময় থাকতো না তাদের। কিন্তু এখন সময় বদলেছে, চাহিদা হারাচ্ছে মাটির প্রদীপ। তাই প্রচুর পরিশ্রম করার পরও, ৫০-৬০ টাকায় ১০০ মাটির প্রদীপ বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ফলে পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি না পাওয়া, এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা কমে যাওয়ায় এই শিল্পের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন এই পেশায় যুক্ত মানুষজন। নতুনভাবে আর এই পেশায় আসতে চাননা কেউ।