শিলিগুড়িতে নদী বাঁচানোর শ্লোগান নিয়ে বনেদি বাড়ির পুজোয় হাজির ছিলেন 'বব বিশ্বাস'খ্যাত অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার চক্রবর্তীবাড়ির পুজোর থিম বা বার্তা ছিল নদী বাঁচান। চক্রবর্তীবাড়ির দীপজ্যোতিবাবু-শ্রাবণীদেবীদের পাশে দাঁড়িয়ে শাশ্বতবাবু বিসর্জনের পর নদী পরিষ্কার রাখার বার্তা দেন। বহুযুগ আগের কথা। এক সময় বাংলাদেশের বাগোড়া গ্রামে তাঁদের পূর্বপূরুষের দুর্গাপুজো বিখ্যাত ছিল। পরে ছিন্নমূল হয়ে এপার বাংলায় চলে আসা। প্রথমে দক্ষিণবঙ্গে। তারপর বাবার চাকরির সূত্রে শিলিগুড়ি এসে থিতু হওয়া। শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার চক্রবর্তী পরিবার তারপর থেকে পুরোপুরি শিলিগুড়িবাসী। সেই পারিবারিক থমকে যাওয়া দুর্গাপুজো ফের চালু করেছেন বেশ কিছু বছর হল। সেখান থেকে অল্প কিছু বছরেই উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্য়তম সেরা বনেদী বাড়ির পুজো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে তাঁদের পুজো। কোন মন্ত্রে তাঁরা সামনের সারিতে উঠে এসেছেন? চক্রবর্তীবাড়ির তরফে দীপজ্যোতি চক্রবর্তী জানান, তার পিছনে হয়তো অন্যতম কারণ হল তাঁদের পুজোয় প্রতিবারই থাকে একটা বিশেষ বার্তা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নদী বাঁচানোর বার্তা দিয়ে বাড়ির পুজোকে সামাজিক প্রেক্ষাপটে তুলে ধরেছে চক্রবর্তীবাড়ি। এলাকাবাসীর কাছে এই পুজোর আরও একটা আকর্ষণ, এক এক সময় টলিউড-বলিউডের বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা হাজির হন তাঁর পুজোয়। এর আগেও কখনও সব্যসাচী চক্রবর্তী, কখনও চন্দন সেনরা হাজির হয়েছেন তাঁর পুজোয়। এবারে হাজির ছিলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। শাশ্বত নিজেও নদী বাঁচানোর প্রচারে শামিল হন। পুজো কমিটিগুলির কাছে আবেদন রাখেন, বিসর্জনের পর কাঠামোর অবশিষ্টাংশ প্রাথমিকভাবে তাঁরাই যেন পরিষ্কার করেন। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছেও এ বিষয়ে তৎপরতার দাবি জানান। শাশ্বত নিজে পুজোর অনুষ্ঠানে শামিল হন। দশমীর দিন পুজোর পর এ বাড়ির রীতি অনুযায়ী মাংসভাত খেয়ে ফিরে যান কলকাতায়।