এক অচেনা জামাইষষ্ঠীর সাক্ষী থাকল নদিয়ার শান্তিপুর। আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে শাশুড়ির ছোড়া ইটের ঘা, শ্যালকের গলা ধাক্কা খেল জামাই। জখম অবস্থায় জামাই ভর্তি হাসপাতালে। নদিয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপকুমার মজুমদার। তাঁর অভিযোগ স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই প্রায় বছর পাঁচেক ধরে। তাঁর কাছ থেকে খোরপোষের মামলা বাবদ বেশ কিছু টাকাও নিয়েছে। আটকে রেখে দিয়েছে তাঁর গাড়ি। দেখা করতে দেয় না সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলের সঙ্গেও । বারবার বলেও হয়নি কোনও কাজ। তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর দু'নম্বর কলোনির স্ত্রীর বাপের বাড়িতে জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়ির জন্য শাড়ি, আম-কাঁঠাল, দই- মিষ্টি, ছেলের জন্য লজেন্স, বিস্কুট নিয়ে আসলেই, স্ত্রী চলে যায় বাড়ি ছেড়ে। দরজায় তালা দেয় শাশুড়ি এবং শালা। বহু ডাকের পর, শাশুড়ির দেখা মিললেও প্রণাম করতে গিয়েও বাধে বিপত্তি। অভিযোগ, জামাইকে ইট দিয়ে আঘাত করেন শাশুড়ি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে গেলে, শ্যালক মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে দেয়। প্রতিবেশীরা দাঁড়িয়ে দেখলেও ওই পরিবারের প্রতি সকলেরই বিতৃষ্ণা। তাই প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও, গুঞ্জন জামাইটা খুব ভালো। এ প্রসঙ্গে অনুপ বাবু বলেন, লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতেন তিনি। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাস করান। তাঁর সুপারিশের ভিত্তিতেই বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি হয় স্ত্রীর। অভিযোগ, সেখানেই প্রথম পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে তাঁর স্ত্রী। তখন থেকে শুরু, পরবর্তীকালে প্রতিবেশী একটি ছেলের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়ায় সে। স্ত্রী ও তার প্রেমিকের whatsapp চ্যাট দেখে ফেলার দাবি করেছেন অনুপবাবু।। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ি-সহ স্থানীয় কাউন্সিলর, বিধায়ক সকলকে জানিও কোনও ফল হয়নি বলেই অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়েই এদিনের এই সিদ্ধান্ত। খোরপোষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিত এক লক্ষ টাকা নিয়েও তাঁকে আইনি সমস্যায় জর্জরিত করে রাখার অভিযোগও করেছেন অনুপ কুমার মজুমদার। যদিও এ বিষয়ে অনুপ বাবুর শাশুড়ি এবং শ্যালক কেউই ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেননি।