মানুষ পুড়িয়েও শেষমেশ রক্ষা পেলেন না ভানু বাগ। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার কটকের হাসপাতালে ভোর তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর গাড়িতে করে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যান ভানু। জানা যায় ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার। এরপরই বৃহস্পতিবার রাত তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের পর তাঁর শরীরের প্রায় আশি শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। ভানুর মৃত্যুর পর এবার এগরা বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 9। ইতিমধ্য়েই ভানুর দেহ কটক থেকে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যপুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভানুর শেষকৃত্যের পর তাঁর ছেলেকে হেফাজতে নেওয়া হবে। এগরা বিস্ফোরণ মামলায় ভানু, তাঁর পুত্র ও ভাইপো— তিনজনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে মামলা দায়ের হয়েছিল। ভানুর মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে এই মামলার মূল অভিযুক্ত তাঁর ছেলে ও ভাইপো। ভাইপোকে ইতিমধ্যে আট দিনের সিআইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গত 16 মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় খাদিকুল গ্রামে একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দেহ। জানা যায়, ওই কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু বাগ। ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভানুর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। জানা যায়, ঘটনার পরেই ওড়িশা পালিয়ে গিয়েছে ভানু ও তার ছেলে। ওড়িশায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভানুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালে কটকের একটি হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভানু ও তার ছেলের খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ভানু মৃত্যুর পরে এবার বিস্ফোরণের তদন্তে কী মোর নেবে, সেই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে সব মহলে।