Advertisement

বিশ্ব

মঙ্গলে হ্রদ থেকে সময়ের ক্ষুদ্রতম ইউনিট! দেখে নিন ২০২০ সালের সেরা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি

Aajtak Bangla
  • 18 Dec 2020,
  • Updated 6:09 PM IST
  • 1/10

মঙ্গলে তিনটি প্রাচীন হ্রদের খোঁজ- মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠের নিচে প্রাচীন হ্রদের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, গ্রহটিতে  যে পরিমাণ ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে আরও বেশি জল থাকতে পারে। শুষ্ক ও ধুলোময় গ্রহটির দক্ষিণের বরফচূড়ার নিচে জলাশয় লুকিয়ে থাকতে পারে।  ইতালির রোমা ট্রে ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ২০১৮ সালেই মঙ্গলের মেরু বরফের নিচে একটি লুকানো হ্রদের খোঁজ পান। এ ছাড়া নতুন গবেষণায় আরও তিনটি নতুন জলাশয় থাকার কথা বলা হচ্ছে। গবেষকেরা এ ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারের রাডারের তথ্য ব্যবহার করেছেন।
 

  • 2/10

চাঁদে মিলল জল- জলের সন্ধান মিলল চাঁদে। যুগান্তকারী এই ঘোষণা করেছে নাসা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, জলের অণুর খোঁজ মিলেছে চাঁদের গহ্বরে। সূর্যের আলো চাঁদের যে অংশে পড়ে, সেখানেই জলের খোঁজ পেয়েছে নাসারস্ট্র্যাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি বা সোফিয়া। সোফিয়া নিশ্চিত করে বলেছে, চাঁদের ক্লেভিয়াস গহ্বরে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন জোট বেঁধে জলের অণু তৈরি করেছে। এর আগে, চাঁদের পৃষ্ঠে হাইড্রোজেনের খোঁজ মিলেছিল। তবে হাইড্রোজেন, অক্সিজেনের সঙ্গে কোন রাসায়নিক জোট বেঁধে রয়েছে, তা এতদিন জানা যায়নি। নাসার দাবি, ক্লেভিয়াস ক্রেটারে ১২ আউন্স মতো জল জমে রয়েছে। চাঁদের মাটি ও ধূলিকণায় এক ঘনমিটার পর্যন্ত জায়গা জুড়ে জলের অণু ছড়িয়ে রয়েছে।

  • 3/10

মানব শরীরে মিলল নতুন অঙ্গ- মানব শরীরে এক সম্ভাব্য নতুন অঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীদের এক দল প্রস্টেট ক্যানসারের বিষয়ে গবেষণা করার সময় ওই অঙ্গ খুঁজে পান। নেদারল্যান্ডস ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ওই গবেষকরা গলার উপরের দিকে হাজার হাজার আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থি (Salivary glands) দেখতে পেয়েছেন। তারা গ্রন্থিগুলোর নামকরণ করেছেন ‘টিউবারিয়াল লালা গ্রন্থি’। ‘জার্নাল রেডিওথেরাপি অ্যান্ড অঙ্কোলজি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে গবেষকরা জানিয়েছেন, অন্তত একশো জন রোগীর শরীরে পরীক্ষা চালিয়ে তবেই তারা ওই লালা গ্রন্থির উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। এই আবিষ্কার ক্যানসারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই গ্রন্থিগুলোর আকার প্রায় দেড় ইঞ্চি তথা ৩.৯ সেন্টিমিটার। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওই গ্রন্থিগুলো সম্ভবত নাক ও মুখের পিছনের দিকে অবস্থিত গলার উপরের অংশকে সিক্ত ও আর্দ্র করে রাখে।
 

  • 4/10

 রহস্যময় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি- ই উরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির গাইয়া স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল মিল্কি ওয়ে  বা আকাশগঙ্গার অসাধারণ থ্রি-ডি ম্যাপ। আমাদের ছায়াপথ যে কত সুন্দর, এই ছবি যেন তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।  সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলোকে বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট। এমন অসংখ্য এক্সোপ্ল্যানেট থাকতে পারে আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে। তবে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ছায়াপথে এই প্রথম কোনো এক্সোপ্ল্যানেটের খোঁজ দিলেন বিজ্ঞানীরা। দুটি মহাজাগতিক বস্তু একে অপরকে প্রদক্ষিণ করলে তাদের বলা হয় বাইনারি সিস্টেম। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হোয়ার্লপুল নামের ছায়াপথে এমন বাইনারি সিস্টেম শনাক্ত করেছেন। আর আকারে মহাজাগতিক বস্তুগুলোকে গ্রহের মতো বলে মনে করছেন তাঁরা।

  • 5/10

নাসার নজরে বিশেষ ধাতুর গ্রহাণু-  একটি বিশেষ দূর্লভ ধাতব গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছে নাসা। প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে, এই বিশেষ গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে '16 Psyche’। এটি পৃথিবী থেকে ৩৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটির আকার ২২৬ কিলোমিটারের মতো। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এলাকা যতটা, ততটা বড় এই গ্রহাণুটি। কিন্তু এই গ্রহাণুর বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এর আকার নয়, বরং এটি যা দিয়ে তৈরি, সেই ধাতব উপাদানগুলি। বেশিরভাগ গ্রহাণু যেমন পাথর কিম্বা বরফের দ্বারা তৈরি হয়, এটি তেমনভাবে তৈরি নয়। এটি তৈরি হয়েছে বিশেষ কয়েকটি ধাতব পদার্থ দিয়ে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাধারণত দেখা যায়, কোনও একটি গ্রহাণুতে অন্য অনেক পদার্থের মধ্যে বহুমূল্য ধাতব বস্তু লুকিয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনাটি একেবারে আলাদা। এই গ্রহাণুর ক্ষেত্রে পুরোটাই তৈরি ধাতব বস্তু দিয়ে। এতে রয়েছে নিকেল ও লোহা। আর সেই কারণেই এখানে জমা ধাতব বস্তুর দাম হতে পারে প্রায় ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলার। সারা পৃথিবীর অর্থনৈতির থেকে যা ১০ হাজার গুণ বেশি।

  • 6/10

বৃহস্পতির সমান গ্রহে প্রাণের সন্ধানের সম্ভাবনা- পৃথিবী থেকে ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে আরেক সৌরজগতে দুটি বড় গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আয়তনে প্রায় জুপিটারের সমান ওই দুই গ্রহ নিয়ে গবেষণায় প্রাণের অস্তিত্বও মিলতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। সম্প্রতি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

  • 7/10

গ্রহাণুর বুকে এই প্রথম স্পন্দন -  মহাকাশে এত দিন যাদের নিষ্প্রাণ বলে মনে করা হতো, তাদের মধ্যেও দেখা গেল যেন প্রাণের স্পন্দন! এই প্রথম। এই স্পন্দনকে অবশ্য জৈবিক বলা যাচ্ছে না। তবে দেখা গেল, দূর থেকে এত দিন যাদের শুধুই নির্জীব, নিছকই পাথুরে বলে ভাবা হতো, তাদের মধ্যেও নিয়মিত ভাঙাচোরা হয়। পাথরে ফাটল ধরে। আর আপাতদৃষ্টিতে সেই নির্জীব, নিষ্প্রাণ পাথুরে মহাজাগতিক বস্তুটি মহাকাশে মুহুর্মুহূ উগরে দেয় রাশি রাশি কণা। যার বেশিটাই ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে। কিছুটা ফিরে আসে উৎসেই। সেই চঞ্চলতা প্রাণের স্পন্দনের মতোই গতিময়। নাসার মহাকাশযান ‘ওসিরিস রেক্স’-এর চোখেই প্রথম ধরা পড়ল আপাত-নিষ্প্রাণ আদ্যোপান্ত পাথুরে গ্রহাণুতে (‘অ্যাস্টারয়েড’) প্রাণের স্পন্দন। গ্রহাণুটির নাম- ‘বেন্নু’। বলা যেতে পারে এই প্রথম কোনও গ্রহাণুর বুকের ধুকপুকুনি চাক্ষুষ করা গেল। দেখা গেল, কোনও গ্রহাণু থেকে কী ভাবে রাশি রাশি কণা প্রতি মুহূর্তে ছড়িয়ে ছিটকে পড়ে মহাকাশে। কেন সেই প্রাণের স্পন্দন, তার যথাসম্ভব ব্যাখ্যা দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে গবেষণাপত্রে।
 

  • 8/10

মস্তিষ্কের বিশেষ অংশই মানুষকে পড়তে লিখতে সাহায্য করে- সুবিশাল এই পৃথিবীতে আমাদের চেনা, জানা বা শেখার অন্ত নেই। ক্ষুদ্র হোক বা বৃহৎ প্রতি মুহুর্তেই প্রত্যেকটা জিনিস থেকে আমরা কিছু না কিছু শিখে চলেছি। আর এই শেখার কাজে মুখ্য ভূমিকা যে পালন করে আসছে তা হল মস্তিষ্ক বা ব্রেন। কারণ, এই জীবজগতের অন্যান্য প্রাণিদের সঙ্গে মানুষের সবথেকে বড় পার্থক্য হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের গঠন, কার্যপদ্ধতি, নিউরন ঘনত্বের আধিক্য আর দেহের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতা অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষকে অনন্যতা দান করেছে। যেকোনও কিছু বলা, উপস্থাপন করা বা লেখার কাজে মানব মস্তিস্কের ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওহিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা মানুষেরা কেন বর্ণমালা পড়ে এবং শব্দগুলি কেন শেখে তা নিয়ে গবেষণা করেছে। গবেষণা পত্রে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, মস্তিষ্কে এমন একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে যে, যা মস্তিষ্ককে আলাদা করে দেয় বা বর্ণগুলি এবং শব্দগুলি দেখার জন্য গ্রহণযোগ্য করে তোলে। তাঁরা দেখিয়েছেন যে, মানব মস্তিষ্কের একটি অংশ পড়তে শেখার ক্ষেত্রে জন্মের সময় “পূর্ব-তারযুক্ত” হয়। একে “ভিজ্যুয়াল ওয়ার্ড ফর্ম এরিয়া” (ভিডাব্লুএফএ) বলা হয় এবং এটি মস্তিষ্কের ভাষা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত। যা প্রত্যেক মানুষের ব্রেনেই রয়েছে।
 

  • 9/10

বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন সময়ের ক্ষুদ্রতম ইউনিট জেপটোসেকেন্ড-   এক সেকেন্ডকে এক বিলিয়ন ভাগ করলে তার একভাগের এক ট্রিলিয়নাংশ। এই হল জেপটোসেকেন্ড। দশমিকের পর কুড়িটা ০ আর একটা ১। সময়ের এই হল ক্ষুদ্রতম ইউনিট, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদরা হিসেব কষে বার করেছেন জেপটোসেকেন্ডকে। দেখা যাচ্ছে, একটি ফোটনের হাইড্রোজেন পরমাণুকে টপকে যেতে লাগছে মোটামুটি ২৪৭ জেপটোসেকেন্ড। এক্স রে ব্যবহার করে পেট্রা থ্রি লেসার থেকে ঠিক একটি হাইড্রোজেন কণা নিষ্কাশন করেছেন তাঁরা। এক্স রের শক্তি এমনভাবে ব্যবহৃত হয়, যাতে হাইড্রোজেনের দুটি ইলেকট্রনকেই একটিমাত্র ফোটন বার করে আনতে পারে। অর্থাৎ দুটি ইলেকট্রনকেই ছুঁয়ে যাবে ওই ফোটন। একাধিক ইলেকট্রন এক সঙ্গে ঢেউয়ের মত দুলতে থাকে, ফলে ফোটনের ধাক্কায় একটি ইলেকট্রন যখন বেরিয়ে আসে, তার ধাক্কা দুলিয়ে দেয় অন্য ইলেকট্রনটিকেও। এ জন্য কোল্ড টার্গেট রিকয়েল আয়ন মোমেন্টাম স্পেকট্রোস্কোপি রিঅ্যাকশন মাইক্রোস্কোপ নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। এই যন্ত্রে অণু পরমাণুর অত্যধিক দ্রুত রিঅ্যাকশনও প্রতি মুহূর্তে রেকর্ড হয়।
 

  • 10/10

বয়স কমিয়ে দেওয়ার আশ্চর্য প্রোটিন আবিষ্কার- সকলেই চান চিরযুবা হয়ে থাকতে। এত দিনে বোধ হয় সেই স্বপ্ন সত্যি পূর্ণ হতে চলেছে! আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বা ISS-এ পাঠানো একটি ইঁদুরের উপর এই অ্যান্টি-এজিং পরীক্ষা করে দেখেছে জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা JAXA এবং তোহুকো বিশ্ববিদ্যালয়। কিয়োদো নিউজের একটি রিপোর্ট বলছে যে নিউক্লিয়ার ফ্যাক্টর এরিথ্রয়েড ২ এবং রিলেটেড ফ্যাক্টর ২ বা সংক্ষেপে Nrf2 নামক প্রোটিন ওই ইঁদুরের শরীরের কিছু জৈব ক্রিয়ার পরিবর্তনের গতি ধীর লয়ের করে দিয়েছে, অনেকটা এজিং প্রসেস ধীরগতির করে দেওয়ার মতো। এই Nrf2-কে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রতিক্রিয়ার মাস্টার রেগুলেটর বা মূল নিয়ন্ত্রক বলা হচ্ছে। আমাদের শরীরে মানসিক চাপ মোকাবিলা করার যে ক্রিয়া, তাকে চালনা করে এই Nrf2। 
 

Advertisement
Advertisement