সম্প্রতি ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে একটি রেল স্টেশনের নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখা হয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এলাকায় অবস্থিত ওই স্টেশনটির নাম ‘হোয়াইট চ্যাপেল’।
ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের (টিএফএল) উদ্যোগে ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের অর্থ সাহায্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। গত বৃস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় মেয়র জন বিগস সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
স্টেশনটি বাংলায় নামকরণের জন্য ব্রিটেনের প্রাচীন সাপ্তাহিক পত্রিকা জনমত সহ কমিউনিটির মানুষ ক্যাম্পেইন করেছিলো। ইতোমধ্যে সংস্কারের পর চালু করা হয়েছে স্টেশনটি। এখান থেকেই সংযুক্ত হবে ক্রস রেল।
‘হোয়াইটচ্যাপেল’ নামে সেই স্টেশনটির অবস্থান বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে। এ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। বাংলায় সাইনবোর্ড লাগানোর ফলে এখন থেকে ইংরেজির পাশাপাশি এ স্টেশনের নাম বাংলায় দেখতে পাবেন চলাচলকারীরা।
বাংলাকে আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইউনেস্কো। এবার খোদ লন্ডনের বুকেও বাংলায় লেখা হল রেল স্টেশনের নাম, এই ঘটনায় স্বভাবতই উচ্ছসিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে গর্বিত মমতা ট্যুইট করেছেন।
রানির দেশে মেট্রো স্টেশনের নাম বাংলা ভাষায় দেখে বিষয়টি গৌরব এবং সম্মানের বলেই মনে করছেন প্রবাসী বাঙালিরা। অনেকেই মেট্রো স্টেশনে বাংলায় লেখা নামের সেই ছবি শেয়ার করছেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
‘হোয়াইটচ্যাপেল’ নামে সেই স্টেশনটির অবস্থান বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে। এ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। বাংলায় সাইনবোর্ড লাগানোর ফলে এখন থেকে ইংরেজির পাশাপাশি এ স্টেশনের নাম বাংলায় দেখতে পাবেন চলাচলকারীরা।
এই হোয়াইট চ্যাপেলেই পাশেই বাংলাদেশিদের আদি ঠিকানা ব্রিকলেনসহ ইস্ট লন্ডন মসজিদ, ব্রিকলেন মসজিদ, আশেপাশের বেশীরভাগ দোকানের নামও বাংলা হরফে লেখা। সেই গৌরবগাঁথার সঙ্গে এবার জন্ম হলো আরও একটি ইতিহাসের।