দেনার দায়ে ডুবে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এবার সেই শ্রীলঙ্কার পরিণতি হতে চলেছে পাকিস্তানের? এই মুহূর্তে পাকিস্তানে খাদ্য সংকট যে পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, তাতে দেশটির অর্থনৈতির ভবিষ্যত্ ঘিরে তৈরি হয়েছে বড় আশঙ্কা। অনেক দিন ধরেই পাকিস্তান দ্রুত মহা মন্দার দিকে এগোচ্ছিল। ২০২২ সালের বন্যার পরে একেবারেই করুণ অবস্থা। (ছবি-AFP)
পাকিস্তানে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ২২০ টাকা কিলো। ঠিক এক বছর আগে জানুয়ারিতে ছিল ৩৬ টাকা কিলো। ডিজেলের দাম বেড়েছে ৬১ শতাংশ, পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। চাল, ডাল, গমেরও জোগান নেই। দামও বাড়ছে লাফিয়ে। সর্ষের তেলের দাম ৫৩২ টাকা লিটার। কলা ১১৯ টাকা এক ডজন। দুধ দেড়শো টাকা লিটার। (ছবি-AFP)
করাচির বাজারে দামের ট্যাগ ঝুলিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা। খরিদ্দারের অভাব। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার তলানিতে। ৮ বছরে সবচেয়ে কম। যার নির্যাস, দেশের আমদানি মুখ থুবড়ে পড়ছে। আরও পড়বে। (ছবি- এএফপি)
ইসলামাবাদে সরকারি দোকানে গমের জন্য হাহাকার। রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই অর্থনৈতিক সঙ্কট ঘিরে ধরেছে পাকিস্তানকে। তার সঙ্গে দোসর ভয়াল বন্যা। (ছবি-AFP)
ইসলামাবাদে সরকারি মূল্যে গম কেনার বিরাট লাইন। গত ১০ বছরে এত ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি হয়নি পাকিস্তানে। (ছবি-AFP)
করাচিতে পাকিস্তানি নোট গুনছেন এক ব্যক্তি। দেশের জনগণ বড়সড় সঙ্কটে। (ছবি-- Getty Images)
পাকিস্তানে ময়দার সঙ্কটের জন্য খাদ্য দফতর এবং ময়দা কলগুলির অব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন বাসিন্দারা। পাকিস্তানের সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, করাচিতে এক কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। ইসলামাবাদ এবং পেশোয়ারে ১০ কেজি ময়দার বস্তা বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এক দিকে ময়দার আকাল, অন্য দিকে আকাশছোঁয়া দামে দিশাহারা হয়ে ভর্তুকির ময়দা পাওয়ার জন্য মারামারি করছেন পাক নাগরিকরা। (ছবি-AFP)
করাচির আটা ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারে ১০ কেজি আটা ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি, ২০ কেজি আটা ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দু’সপ্তাহে ১৫ কেজি আটার দাম ৩০০ টাকা বেড়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় খোলা বাজারে এক বস্তা আটার দাম ৩,১০০ টাকা যা ভাবনাচিন্তারও বাইরে। (ছবি-AFP