Sea Creature: বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরে এমন এক বিরল প্রাণীর হদিশ পেয়েছেন। বিরল এই প্রাণীটির দেহ প্রায় ৯ ফুট। বিজ্ঞানীরা বিস্মিত যে, এই নতুন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী কেন আগে আবিষ্কার হয়নি। এই বিস্ময়কর প্রাণীটি E/V Nautilus নামে একটি দূরবর্তী চালিত সীপ্লেন দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এর একটি ভিডিও করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে গবেষণা চালায় ওশান এক্সপ্লোরেশন ট্রাস্ট নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। সামুদ্রিক বিমানের পর্দায় এই প্রাণীটি দেখা মাত্রই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। এই প্রাণীটির খুব কাছে গিয়ে ক্যামেরা জুম করে ছবি তোলা হয়।
এই প্রাণীটির পুরো দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ ফুট। যদিও এর সুরটি প্রায় ১৬ ইঞ্চি লম্বা ছিল। নরম গোলাকার অংশে কাঁটার মতো কাণ্ড বেরিয়ে ছিল। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্রাণীটি শিকারের খোঁজ করছিল।
চলতি মাসের ৭ তারিখে এই প্রাণীটির সন্ধান পাওয়া যায়। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় ৯৮২৩ ফুট গভীরতায় ছিল। হাওয়াইয়ান দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম দিকে অবস্থিত জনস্টন অ্যাটলের কাছে যেখানে এই প্রাণীটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন এটি Solumbellula monocephalus। জেলিফিশ এই শ্রেণিতে আসে। এই প্রাণীটির প্রধান আবিষ্কারক স্টিভ আসকাভিচ বলেছেন যে এই আবিষ্কারটি বিস্ময়কর।
স্টিভ আসকাভিচ বলেছেন যে আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এটি একটি Sea pen। কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আমরা একটি প্রাণী দেখেছি কিন্তু ধরতে পারিনি। এই প্রাণীটি Sea pen চেয়েও বড় ছিল।
এর আকার থেকে, মনে হয় এটি একটি অতি প্রাচীন প্রাণী। যদিও এর সঠিক বয়স অনুমান করা কঠিন। সাধারণত Sea pen ৫ থেকে ৬ বছর বয়সের মধ্যে হয়। সর্বাধিক এক দশক পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
স্টিভ জানান যে Solumbellula monocephalus প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে আগে দেখা যায়নি। মাত্র কয়েক মাস আগে স্পেনের
বিজ্ঞানীরা সমুদ্র কলমের দুটি প্রজাতি আবিষ্কার করেছিলেন। সিউডামবেলুলা এবং সোলামবেলুলা।
তবে এই নতুন জীবটি শুধুমাত্র সোলামবেলুলা মনোসেফালাস প্রজাতিরই কিনা তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। সামনে এলে অনেক রহস্য উন্মোচন হবে।