আফগানিস্তানে ফের তালিবান রাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশ তালিবানের কবলে। প্রাণ বাঁচাতে রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি পালিয়ে গিয়েছেন।
এখন আফগানিস্তানের আমজনতা প্রতিমুহূর্তে আতঙ্কে ভুগছেন এই বুঝি প্রাণ গেল। প্রচুর লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। অনেকে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। অনেকে পালাতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
মানুষ বুঝতে শুরু করেছেন, পালিয়ে গোটা দেশ বাঁচাতে পারবে না। ফলে হয় তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাই অবশেষে দেরিতে হলেও বোধোদয় হয়েছে জনতার।
আফগান সেনারা তালিবানদের সঙ্গে বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু অত সহজে আত্মসমর্পণ করতে রাজি নন দেশের জনতা। তাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তালিবানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন।
১৯ অগাস্ট আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এদিন দেশের বিভিন্ন জায়গাতে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে তালিবানদের বিরোধিতা করা হয়েছে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। এমনকী বিক্ষোভ মিছিলও তৈরি করা হয়েছে।
জনতা বৃহস্পতিবার কাবুল এয়ারপোর্টে কাছে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন। এই সময় তালিবান যোদ্ধারা ওই এলাকায় গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীদের ঘটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরও বিক্ষোভকারীদের সহজে টলানো যায়নি। তারপরেই ২৪ ঘন্টা কারফিউ জারি করে দেয় তালিবানরা।
আফগানিস্তানে আলাদা জায়গায় বিক্ষোভ তৈরি শুরু হয়েছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হচ্ছে। বিশেষ করে তালিবানদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন যাঁরা তাদের অগ্রভাগে রয়েছেন মহিলারা। তাঁরা তালিবানদের কাছে নিজেদের স্বাধীনতা চায়।
আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের মিছিলে রাষ্ট্রীয় পতাকা উড়িয়ে তালিবানরা রোষের মুখে পড়েন। জমায়েতের এর উপর গুলি চালাতে শুরু করে তালিবান জঙ্গিরা।
কয়েকজন গুলিতে মারাও যান। গার্ডিয়ান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী গুলি চালানোর পর মানুষ আতঙ্কে ভুগতে শুরু করে এবং দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।
এ রকম একটি বিরোধীদের বিরুদ্ধে গুলিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তালিবানের তরফ থেকে ১৫ অগাস্ট দখল নিয়ে নেওয়া হয়।একটি শহরে একটা বড় বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে তালিবানদের ঝান্ডা ছিঁড়ে ফেলা হয়। এটি তালিবানদের বিরুদ্ধে এই দফায় প্রথম বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন। প্রচুর মহিলা বিক্ষোভকারীরা তালিবানদের বিরুদ্ধে এবার রাস্তায় নেমে আসছেন। তাঁরা তাদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করতে চান না।
তবে শুধুমাত্র আফগানিস্তানই নয় আফগানিস্তানের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দেশে যেখানে আফগান রয়েছেন, তাঁরা আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে এবং তালিবানদের দখলমুক্ত করতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের স্থানীয় মানুষ করে তালিবানদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে।
সমস্ত ছবি পিটিআই ও এপি থেকে নেওয়া