নাগরদোলা বা রোলার কোস্টার এখন বিনোদনের এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বাচ্চারা দেখলেই তাতে উঠতে চায়। কিন্তু সেই নাগরদোলা বা রোলার কোস্টার যে কতটা মারাত্মক হতে পারে তার প্রমাণ মিলল। রোলার কোস্টারের মধ্যে নিশ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল এক বাচ্চার। তার বয়স মাত্র ৫ বছর। পরে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল সেই শিশুর।
ওই দম্পতি তাঁদের সন্তানকে নিয়ে ডিজনি ওয়ার্ল্ডে গিয়েছিলেন। সেখানে নাগরদোলা, রোলার কোস্টার ইত্যাদি ছিল। শিশুটি রোলার কোস্টারে ওঠার জন্য বায়না ধরে। সন্তানের মন রাখতে রোলার কোস্টারে ওঠে বাবা-মা।
কিন্তু, রোলার কোস্টার শুরু হওয়ার মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে বিপত্তি। রোলার কোস্টারের উপরেই শিশুটির চোখ মুখ দাঁড়িয়ে যায়। তার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয় সে। এরপর শিশুটির মা চিৎকার শুরু করলে দোল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনা ফ্লোরিডার।
শিশুটির মা বলেন, 'আমরা সন্তানকে নিয়ে একটি রোলার কোস্টারে বসেছিলাম। এরপর তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ও অজ্ঞান হয়ে যায়। শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছিল।'
এদিকে রোলার কোস্টার থামার পর সেই শিশুর মা চিৎকার করতে শুরু করেন। এলাকার লোকজন আসে। ডিজনি কর্মীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। শিশুটিকে তড়িঘড়ি হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর চিকিৎসা শুরু হয়। তার হার্ট আবার কাজ করতে থাকে।
এরপর ওই শিশুকে তিনটি পৃথক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং জানা যায়, তার ক্যাটেকোলামিনার্জিক পলিমরফিক ভেন্ট্রিকুলার টাকাইকার্ডিয়া (সিপিভিটি) আছে। এটি একটি বিরল হৃদরোগ। অতিরিক্ত উত্তেজিত হলে এই ধরনের রোগীদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে।
পরে জানা যায়, শিশুটির বয়স মাত্র ৫ বছর। সে যে রোলার কোস্টারে বসেছিল সেটি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চলছিল। তাই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয় শিশুটি। এমত অবস্থায় শিশুদের নাগরদোলা বা রোলার কোস্টারে ওঠানো উচিত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।