কীভাবে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে আসছে, সেই মুখোশ খুলতে বিশ্বের নানা দেশে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। JDU সাংসদ সঞ্জয় ঝাঁয়ের নেতৃত্বাধীন দল এই মুহূর্তে রয়েছে জাপানে। সেই দলে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার সকালে টোকিওতে প্রবাসী ভারতীয়দের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। কীভাবে ভারত পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছে তারই ব্যাখ্যা শোনা গেল তৃণমূল সাংসদের মুখে। প্রবাসীদের সামনে পর্দাফাঁস করলেন পাকিস্তানের।
এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'আমি ভারতের একটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত এককাট্টা। আমি মনে করি, পাকিস্তান যে ভাষা বোঝে, তাদের সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া উচিত। যে TRF পহেলগাঁওতে নৃশংস হামলা করেছে তারা লস্করেরই ছায়া সংগঠন। আর এদের মদতদাতা পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ যদি কোনও পাগল কুকুর হয় তবে পাকিস্তান তাদের হিংস্র মণিব।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা পাকিস্তানকে দু'সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম পহেলগাঁও হামলার দোষীদের বিরুদ্ধে ওরা পদক্ষেপ করবে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ হল না। ১৪ দিন পর ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর চালাল এবং ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করল। একজনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি না করে ভারত সন্ত্রাসবাদকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।'
'অপারেশন সিঁদুর'-এর সমস্ত ছবি, ভিডিও দেখানো হয়। কেন এবং কীভাবে ভারতের তরফে পাকিস্তানকে আক্রমণের পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের নেওয়া 'নিউ নর্মাল' পন্থা জাপানে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে স্পষ্ট করেন অভিষেক সহ প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা। জানান, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ভারতের হাতে।
অভিষেক ছাড়াও এই টিমে রয়েছেন সাংসদ ব্রিজলাল, অপরাজিতা সারেঙ্গি, প্রধান বরুয়া, হেমাঙ্গ যোশী, সঞ্জয় ঝা, জন ব্রিটাস। টোকিওর পরে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর সফর করবে এই দল।
সর্বদলীয় ডেলিগেশন টিম দেশে ফিরলে বিশেষ অধিবেশন ডেকে সাম্প্রতিক জঙ্গিহানা ও তার পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে দেশবাসীকে সবটা জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রের প্রতি এই আহ্বান রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বার্তা দিতে যেভাবে সর্বদলীয় ডেলিগেশন টিম বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে তাতে তিনি গর্বিত। তাঁর সংযোজন, জাতীয় স্বার্থে এবং প্রতিরক্ষা স্বার্থে কেন্দ্র যখন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় পাশে থেকেছে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে আহ্বান জানিয়েছেন, দেশবাসীর জানার অধিকার রয়েছে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে।