Advertisement

Donald Trump: আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা! অভিবাসীদের এল সালভাদরে নির্বাসিত করল ট্রাম্প প্রশাসন

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, নির্বাসিত অভিবাসীরা ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং "ট্রেন দে আরাগুয়া"-এর সদস্য। তবে, এ বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গ্যাং সদস্যদের নাম করে নিরীহ অভিবাসীদেরও জোর করে বিতাড়িত করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা! অভিবাসীদের এল সালভাদরে নির্বাসিত করল ট্রাম্প প্রশাসনআদালতের নির্দেশ উপেক্ষা! অভিবাসীদের এল সালভাদরে নির্বাসিত করল ট্রাম্প প্রশাসন
Aajtak Bangla
  • ওয়াশিংটন ডিসি,
  • 17 Mar 2025,
  • अपडेटेड 1:35 AM IST

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির বিতর্কিত অধ্যায়ে নতুন মাত্রা যোগ করলো ট্রাম্প প্রশাসন। শনিবার, মার্কিন জেলা বিচারক জেমস ই. বোয়াসবার্গ অভিবাসীদের নির্বাসন প্রক্রিয়ায় সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেন। তবে, এই আদেশ কার্যকর হওয়ার আগেই দুটি বিমান শত শত অভিবাসীকে নিয়ে এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের উদ্দেশ্যে উড়ে যায়। বিচারক মৌখিকভাবে বিমান ফেরানোর নির্দেশ দিলেও, লিখিত আদেশ না থাকায় ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, নির্বাসিত অভিবাসীরা ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং "ট্রেন দে আরাগুয়া"-এর সদস্য। তবে, এ বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গ্যাং সদস্যদের নাম করে নিরীহ অভিবাসীদেরও জোর করে বিতাড়িত করা হয়েছে।

বিচারক বোয়াসবার্গ যখন নির্বাসন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেন, তখন দুটি বিমান এরই মধ্যে উড্ডয়ন করেছিল। বিচারক মৌখিকভাবে বিমানগুলোকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেও, লিখিত আদেশ না থাকায় প্রশাসন এই নির্দেশ উপেক্ষা করে। ফলে শত শত অভিবাসী এল সালভাদর ও হন্ডুরাসে পৌঁছে যায়।

আরও পড়ুন

এল সালভাদরের প্রেসিডেন্টের ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়া
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে, যিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত, এই ঘটনায় মজার ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'X' (পূর্বের টুইটার)-এ লিখেছেন, "Oops… অনেক দেরি হয়ে গেছে!"

এই পোস্টটি হোয়াইট হাউজের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর স্টিভেন চিউংও শেয়ার করেন, যা স্পষ্ট করে দেয় যে, ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের আদেশকে একেবারেই পাত্তা দেয়নি।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ক্ষোভ
মার্কিন নাগরিক অধিকার সংস্থা ACLU (American Civil Liberties Union) আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সংস্থার প্রধান আইনজীবী লি গেলারেন্ট বলেন,
"আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, আদালতের আদেশ মানা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে। আমরা নিজেরাও স্বাধীনভাবে তদন্ত করছি।"

তবে, বিচার বিভাগের মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে শুধুমাত্র অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির আগের বিবৃতি পুনরাবৃত্তি করেন, যেখানে তিনি আদালতের আদেশের সমালোচনা করেছিলেন।

Advertisement

ভেনেজুয়েলা সরকারের তীব্র নিন্দা
ভেনেজুয়েলা সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে "মানবাধিকার লঙ্ঘন" আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়,। "ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীদের সঙ্গে যা করছে, তা একেবারে দাসত্বের যুগ এবং নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের অন্ধকার ইতিহাসের সাথে তুলনীয়।"

আসলেই কি গ্যাং সদস্য ছিলেন নির্বাসিতরা?
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছিল, নির্বাসিত অভিবাসীরা "ট্রেন দে আরাগুয়া" গ্যাং ও এল সালভাদরের কুখ্যাত এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য। কিন্তু কোনো ধরনের তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই তাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, গ্যাং সদস্যদের নামে নিরীহ ভেনেজুয়েলান ও এল সালভাদরের নাগরিকদেরও জোর করে ডিপোর্ট করা হয়েছে।

কেন আদালতের আদেশ অমান্য করল ট্রাম্প প্রশাসন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অংশ হিসেবে আদালতের আদেশকেও অগ্রাহ্য করেছে। বিশেষ করে, নির্বাচনের আগে ট্রাম্প নিজেকে "অবৈধ অভিবাসনবিরোধী নায়ক" হিসেবে উপস্থাপন করতে চান।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement