Advertisement

Adani Power Bangladesh: বকেয়া কয়েক হাজার কোটি, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করল আদানি

বাংলাদেশ থেকে অনেক টাকা পাওনা। অগত্যা সেদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিল আদানির সংস্থা। বাংলাদেশ থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শেষ পর্যন্ত পাওয়ার সাপ্লাই অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিল আদানি পাওয়ারের অধীনস্থ সংস্থা। 

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিল আদানি গোষ্ঠী। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিল আদানি গোষ্ঠী।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Nov 2024,
  • अपडेटेड 10:55 AM IST
  • বাংলাদেশ থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছে।
  • অগত্যা সেদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিল আদানির সংস্থা।
  • বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কমিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে অনেক টাকা পাওনা। অগত্যা সেদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিল আদানির সংস্থা। বাংলাদেশ থেকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শেষ পর্যন্ত পাওয়ার সাপ্লাই অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিল আদানি পাওয়ারের অধীনস্থ সংস্থা। 

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর...

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ PLC-র তথ্যানুযায়ী আদানি প্ল্যান্ট বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কমিয়ে দিয়েছে। দ্য ডেইলি স্টার সংবাদপত্র সূত্রে মিলেছে এই খবর। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে মাত্র একদিনেই প্রায় ১,৬০০ মেগাওয়াটের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ১,৪৯৬ মেগাওয়াটের প্ল্যান্টের একটি সিঙ্গেল ইউনিট থেকে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে। 

বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ একটি ব্যবসা। তাই কোনও সংস্থার পক্ষে অনন্তকাল ধরে বকেয়া রেখে বিদ্যুৎ সাপ্লাই করে যাওয়া সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই আদানি গোষ্ঠীর সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করতে বাধ্য হয়েছে। 

এর আগে অবশ্য একাধিক সুযোগও দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী

আদানির সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিল। তাতে বিদ্যুৎ সচিবকে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। 

গত ২৭ অক্টোবর এই অন্তিম চিঠি দিয়েছিল আদানির সংস্থা। আর সেখানে ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে। কিন্তু তা না হওয়ায় অগত্যা বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করতে বাধ্য হল আদানি। 

সংস্থা জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট পর্ষদ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাঙ্ক থেকে ১৭০.০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেটার অফ ক্রেডিট দেয়নি। ৮৪৬ কোটি টাকার বকেয়াও ক্লিয়ার করেনি। 

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এর আগে বকেয়ার কিছুটা মেটানো হয়েছিল। কিন্তু গত জুলাই থেকে আদানি আগের মাসগুলির তুলনায় বেশি টাকা চার্জ করছে। 

তিনি দাবি করেন, পর্ষদ আদানিকে সপ্তাহে ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে দিচ্ছিল। কিন্তু পরে সেটা বেড়ে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে দেওয়া হয়। সেই কারণেই বকেয়ার অঙ্ক আবার বেড়ে যায়, দাবি আধিকারিকের। 

Advertisement

তিনি জানান, তাঁরা কৃষি ব্যাঙ্কে গত সপ্তাহের পেমেন্ট জমাও করেছিলেন। কিন্তু ডলার ঘাটতির কারণে ব্যাঙ্ক সেই পেমেন্টের উপর লেটার অফ ক্রেডিট খুলতে পারেনি। 


 

Read more!
Advertisement
Advertisement