Advertisement

Dubai Flooded Cloud Seeding: জলের তলায় 'মরুভূমি' দুবাই, ভয়াবহ বন্যা কেন? কোনও বিপদের সঙ্কেত?

প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দুবাই। শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। ঝাঁ চকচকে শপিং মল থেকে হাইওয়ে, সর্বত্রই জলে ভাসছে। বিপর্যস্ত হয়েছে বিমান পরিষেবা। দুবাই তো বটেই, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিভিন্ন এলাকাও প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। 

বানভাসি দুবাই।
Aajtak Bangla
  • দুবাই,
  • 17 Apr 2024,
  • अपडेटेड 11:12 AM IST
  • প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দুবাই।
  • শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত।
  • সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিভিন্ন এলাকাও প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। 

প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দুবাই। শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। ঝাঁ চকচকে শপিং মল থেকে হাইওয়ে, সর্বত্রই জলে ভাসছে। বিপর্যস্ত হয়েছে বিমান পরিষেবা। দুবাই তো বটেই, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিভিন্ন এলাকাও প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। 

মরুভূমিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। আর সেখানেই কি না, এত বৃষ্টি! এটাই ভাবাচ্ছে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের। মঙ্গলবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুবাইয়ের দুর্যোগের নানা ছবি-ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় জল টইটুম্বুর। সেই জলের স্রোতে খেলনার মতো ভাসছে দামি গাড়ি। শপিং মলে জল ঢুকে গিয়েছে। সে দেশের আবহাওয়া দফতরপ জানিয়েছে, গত ৭৫ বছরে এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু মরুদেশে কেন এত বৃষ্টি হল?

দুবাইয়ে বন্যা পরিস্থিতির জন্য 'ক্লাউড সিডিং'-কেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির কারণেই আজ বানভাসি বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর দুবাই। 

ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টি কী?

বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উষ্ণতম এবং শুষ্ক মরু অঞ্চল হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সেখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। আর সেই কারণেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়াতে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। যার ফলে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করা যায়। এই প্রযুক্তির আসল উদ্দেশ্য হল, মরু এলাকায় জলের ঘাটতি মেটানো। 

কীভাবে তৈরি করা হয় কৃত্রিম বৃষ্টি?
ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় হেলিকপ্টার বা বিমানে করে সিলভার আয়োডাইড অথবা পটাশিয়াম আয়োডাইড বায়ুমণ্ডলে পাঠানো হয়। তারপরে এই কণাগুলি জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন এবং বৃষ্টির ফোঁটা বা বরফের স্ফটিক তৈরিতে সাহায্য করে। যা পরে মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি ঘটায়। 

ক্লাউড সিডিং কি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর? 
 
পরিবেশবিদদের মতে, এই প্রক্রিয়া আদৌ পরিবেশের জন্য ভাল নয়। এর নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। যেসব এলাকায় ক্লাউড সিডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেখানে সাধারণত অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য পরিকাঠামো থাকে না। ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পড়শি দেশ ওমানে প্রবল বর্ষণে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওমানও ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, সিলভার আয়োডাইডের মতো রাসায়নিকের ব্যবহারে পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে। এই পদ্ধতিতে মহাসাগরের অ্যাসিডিফিকেশন, ওজোন স্তর হ্রাস এবং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। গাছপালা, প্রাণীদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement