
ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন বিরাট লে-অফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ছাঁটাইয়ের এই খবর দেওয়ার জন্য এক অদ্ভুত পন্থা নিয়েছে অ্যামাজন। তাদের পক্ষ থেকে সকালে করা হয়েছে পরপর দুটি মেসেজ। আর ঘুম থেকে উঠে সেই মেসেজ দেখে কর্মচারীরা বুঝতে পারছে যে তাদের চাকরি নেই। আর সংস্থার পক্ষ থেকে ১৪০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলেই খবর।
কয়েক মিনিটের মধ্যে ২টি মেসেজ, গেল চাকরি
অ্যামাজনের ছাঁটাই করার পদ্ধতি নিয়ে এখন সারা বিশ্বে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সর্বত্রই এই নিয়ে চলছে কথা। রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, সকালে মেসেজ পেয়েছেন সংস্থার কর্মচারীরা। এই মেসেজে জানান হয় যে চাকরি নেই। আর সব কর্মচারীরা ঘুম থেকে ওঠার আগেই এই মেসেজ পেয়েছেন। সকালে উঠে দেখেছেন বার্তা।
আসলে কিছুদিন ধরেই লে অফ বা ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে দাবি যে খরচ কমাতে এবং ব্যবসাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্মীদের পাঠানো মেসেজে কী লেখা হয়?
রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, অ্যামাজন দু'টি মেসেজ পাঠিয়েছে তাদের কর্মীদের। প্রথম মেসেজে জানান হয়, অফিসে যাওয়ার আগে পার্সোনাল এবং অফিশিয়াল ইমেল চেক করুন। আর দ্বিতীয় মেসেজে হেলপ ডেস্কের নম্বর দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় মেসেজে লেখা ছিল, যদি নিজেদের রোল নিয়ে কোনও ইমেল না পেয়ে থাকেন, তাহলে তারা সেটা পাঠাতে পারে। এই মেসেজ ইমেল করার পরই এসেছে। যাতে কর্মচারীরা অফিস না যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই এই মেসেজ পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
লে অফ নিয়ে চলছে বিতর্ক
অ্যামাজনের এই টেক্সট মেসেজ করে লে-অফের সিদ্ধান্ত নিয়ে চারিদিকেই বিরাট আলোচনা চলছে। এটার সঙ্গে অনেকেই টেসলা এবং গুগলের তুলনা করছেন। আসলে এই সব সংস্থায় রাতারাতি কর্মীদের লে-অফ করা হয়। কোনও নোটিস দেওয়া হয় না। এমনকী কর্মীদের সিস্টেম থেকেও বের করে দেওয়া হয়।
বিজনেস ইনসাইডারের রিপোর্ট জানাচ্ছে, অ্যামাজন চায়নি তাদের আমেরিকার অফিসে কোনও অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হোক। তাই তারা মেসেজ করেই কর্মীদের অফিসে আসতে বারণ করেছে। এমনকী মেসেজেই জানান হয়েছে লে-অফের খবর।
অ্যামাজনের প্রধান HR বলেছেন, 'আমরা নিজেদের থেকে এই সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা এই ট্রানজিশনের সময় পাশে থাকতে চাই।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁদের ছাঁটাই হয়েছে, তাঁরা ৯০ দিনের পুরো বেতন পাবেন। আর তাতেই কিছুটা স্বস্তি বাড়বে কর্মীদের মধ্যে।