
Japan Earthquake: শনিবার বিকেলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপানের পূর্ব উপকূল (Japan Earthquake)। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৮। জাপানের ইওয়াতে (Iwate) প্রদেশের ইয়ামাদা শহর থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর কেন্দ্রস্থল। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়।
জাপান আবহাওয়া দফতর (Japan Meteorological Agency) সঙ্গে সঙ্গে সুনামি সতর্কতা (Tsunami Alert) জারি করে। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের ওই এলাকায় “রিং অফ ফায়ার” (Ring of Fire) অঞ্চলে হওয়ায় ভূমিকম্পের প্রবণতা স্বাভাবিক, তবুও এই তীব্র কম্পন আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপকূলজুড়ে।
মিয়াকো ও ইয়ামাদা সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। ফলে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। সৌভাগ্যবশত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। কেবলমাত্র অল্প কয়েকটি ছোট ঢেউ উপকূলে আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের পর থেকে ক্রমাগত আফটারশকের (Aftershock) পর্যবেক্ষণ চলছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকায় একাধিক ভূমিকম্পের ঝাঁক (Earthquake Swarm) দেখা গেছে। প্রধান ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আগে অন্তত পাঁচটি ৫.০ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড হয়েছে, এবং পরেও ৫.১ মাত্রার একটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। মোট সাতটি বড় ভূমিকম্প এবং তার চেয়ে বেশি ছোট ছোট কম্পন ধরা পড়েছে গত এক দিনে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপান এমন এক অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে প্রশান্ত টেকটোনিক প্লেট (Pacific Plate) ও ওখোত্স্ক প্লেট (Okhotsk Plate) পরস্পরের নিচে সরে যাচ্ছে। এতে চাপ বা টেনশন বাড়ে এবং হঠাৎ মুক্তি পেলেই বড় ভূমিকম্প হয়। বর্তমান ভূমিকম্পের ঝাঁকও সেই চাপ মুক্তিরই ফলাফল।
যদিও বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এই ভূমিকম্প-শৃঙ্খলা (Seismic Swarm) ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে সঠিক সময় নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। জাপানের উন্নত প্রস্তুতি ও সতর্ক ব্যবস্থা থাকার কারণে বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।