কঙ্গো নদীতে নৌকায় আগুন লেগে মৃত্যু হল ১৪৮ জনের। রয়টার্স নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, অনেক যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। কঙ্গো নদী আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এই নদীটি মধ্য আফ্রিকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং এর বেশিরভাগ অংশই গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে (DRC) অবস্থিত।
মঙ্গলবার একটি কাঠের মোটরবোট এইচবি কঙ্গোলোতে হঠাৎ আগুন ধরে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যেই নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে ছেড়ে বোলোম্বা এলাকার দিকে যাচ্ছিল। রান্না করার সময় আগুন লেগে যায়। নৌকায় একজন মহিলা খাবার রান্না করছিলেন। সেই সময় ফুলকি থেকে আগুন লেগে যায়। দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা নৌকায়।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। রয়টার্স জানিয়েছে, নৌকাটিতে প্রায় ৫০০ জন লোক ছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেক মানুষ জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের অনেকেই সাঁতার জানতেন না, যার কারণে ডুবে মৃত্যু হয়।
ইকুয়েটুর প্রদেশের এমপি জিন-পল বোকেৎসু বোফিলি বলেছেন যে প্রায় ১৫০ জন গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা এখনও কোনও চিকিৎসা পাননি। এমবানডাকার স্থানীয় টাউন হলের অস্থায়ী শিবিরে প্রায় ১০০ জনকে রাখা হয়েছে। তবে, এখানেও চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো ভাল নয়। কিছু গুরুতর আহত যাত্রীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা মিলছে না বলে অভিযোগ।
কঙ্গোর মতো দেশে রাস্তাঘাট তত উন্নত নয়। নদীপথেই সেখানকার মানুষ বেশি যাতায়াত করেন। কিন্তু নৌকার খারাপ অবস্থা, অতিরিক্ত ভিড় এবং নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই যাতায়াত করেন মানুষজন। তাই প্রায়শই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। গত কয়েক বছরে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে যেখানে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তা সত্ত্বেও, সরকার নৌকা নিরাপত্তা সম্পর্কিত আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।