কাজাখস্তানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। বুধবার আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে। আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের Embraer E190AR বিমানটি ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া যাচ্ছিল। সৌভাগ্যক্রমে ২৫ জন প্রাণে বেঁচে যান।
কাস্পিয়ান সাগর উপকূলে কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধারকারীদের তত্পরতার কারণে অনেককে বাঁচানো গিয়েছে।
স্থানীয় মিডিয়া ফুটেজে ঘটনাস্থল থেকে অনেককেই দেখা গেছে জীবিত। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এক মহিলাকে ভয়ভীত অবস্থায় দেখা যায়। যদিও কোনও বড় আঘাত তাঁর নেই। ব্যথায় চিৎকার করতে দেখা যায় তাঁকে। কারও ঠোঁট কেঁটে বেরোয় রক্ত।
পাখির ধাক্কায় দুর্ঘটনা?
প্রশ্ন হল কীভাবে এই বড়সড় দুর্ঘটনাটি ঘটল? প্রাথমিক তদন্তের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক ঝাঁক পাখির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এক সংবাদমাধ্যম প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এক ঝাঁক পাখি বিমানের একটি ইঞ্জিনে আঘাত করেছিল, যার ফলে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। বিমান ভেঙে পড়ার আগেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন অনেক যাত্রী। কেউ আবার দাবি করছেন, ঘন কুয়াশার কারণেই জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা। কারও দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এটাও বলা হচ্ছে যে বিমানটির জিপিএস জ্যামিংয়ের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।
বিমান দুর্ঘটনার অনেক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিওতে এই বিমানটিকে বাতাসে দুলতে দেখা যায়। এরপর বিমানের উচ্চতা দ্রুত হ্রাস পায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাটিতে আছড়ে পড়ে আগুন লেগে যায় বিমানে। উদ্ধারকারী দল তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে।