দুই ছাত্র মিলে এক শিক্ষিকা পিটিয়ে হত্যা করেছে, বলে খবর। পরীক্ষায় নম্বর কম আসায় এই দুই ছাত্র অত্যন্ত ক্ষেপে যায়। তারা টিচারকে বেসবল বেড দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে শুরু করে। যদিও হত্যায় অভিযুক্ত এক ছাত্র সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে যে, কোনও মুখোশধারী ওই শিক্ষককে হত্যা করেছে। তারা শুধুমাত্র এই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে মামলা চলাকালীন এ বিষয়টিতে চমকে দেওয়ার মতো কিছু ঘটনা সামনে এসেছে।
ঘটনাটি কী হয়েছিল?
রিপোর্ট অনুযায়ী নইমা গ্রেহেম আমেরিকার Iowa তে উপস্থিত একটি হাইস্কুলের স্প্যানিশ ভাষার শিক্ষিকা ছিলেন। নভেম্বর ২০২১ এ তার হত্যা করা হয়েছিল। বলা হয়েছে যে ছাত্ররা টিচারকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পেটাতে থাকে। পুলিশ এই বিষয়টি হাই স্কুল ছাত্র বিলার্ড মিলার এবং জেরেমি গুডেলকে গত বছর গ্রেফতার করেছিল। তখন দুজনের বয়স ছিল ১৬। ২ নভেম্বর ঘটনার শুনানির সময় নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য উকিলকে জানিয়েছেন যে, কিছু প্রমাণ মিলারের বিরুদ্ধে সংগ্রহ করা হয়েছে। উকিলের দাবি যে, পুলিশ মিলারের ঘরে এবং তার ফোনের তল্লাশি নিয়েছিল, কিন্তু তার কাছে গ্রেফতারি করার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না।
খারাপ গ্রেড নিয়ে টিচারের কে প্রশ্ন করেছিল ছাত্ররা
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে, টিচার গ্রেভারের সঙ্গে স্টুডেন্ট মিলাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ফেয়ার ফিল্ড হাই স্কুলের বাইরে ২ নভেম্বর ২০২১ এর দুপুরবেলায় মিলার এই সময়ে তার নিজের গ্রেড কম আসায় শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। যে খারাপ গ্রেডের কারণে খুন করার পর দেহ সামনের একটি পার্কে ফেলে দেওয়া হয়। ওই পার্কে প্রায়ই কাজ শেষের পর রিলাক্সেশনের জন্য যেতেন মৃতা নহেমা। তার বডি একটি ভ্যানে থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন যে দুজন লোক গ্রেভারের বডি ফেলে যায়। সেখানে অন্যদিকে সাক্ষীরা জানিয়েছেন যে, মিলার এবং গ্রেভার তাকে রাস্তা থেকে পিকআপ করার জন্য দাঁড়িয়েছিল।
ছাত্রদের দাবি
মিলার পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানিয়েছেন যে গ্রেভারের স্প্যানিশ পরানো তারা বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে মিলারের দাবি, টিচার যখন খুন হয় তখন তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা এই ঘটনায় শামিল ছিল না। মিলারের দাবি যে মুখোশধারী একটা গ্রুপ তাদের শিক্ষককে হত্যা করেছে। মিলারের দাবি যে, এই সমস্ত লোকেরা একটা ঠেলায় টিচারের বডি ফেলে দিয়ে যায় এই গ্রুপটি তাদের গাড়িটিও নিয়ে চলে যায়।