ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকার একেবারে শীর্ষে থাকা জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার কোথায় লুকিয়ে? এই প্রশ্নের জবাবে বড় তথ্য দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। গোয়েন্দাদের দাবি, মাসুদ পাকিস্তানেই রয়েছে। তবে বিলাওয়ালের দাবি, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি’ নাকি পাকিস্তানে নেই, রয়েছে আফগানিস্তানে।
আল জাজিরা-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ‘মাসুদ আজহার কোথায় পাকিস্তান জানে না। সম্ভবত আফগানিস্তানে আছে।’ এমনটা মনে করার নেপথ্য কারণও জানিয়েছেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, 'মাসুদ আজহারের অতীত এবং আফগান জিহাদের প্রেক্ষাপট বিচার করে আমাদের বিশ্বাস, সে আফগানিস্তানে রয়েছে।'
‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময়ে ভারতীয় সেনার হিট লিস্টে ছিল পাকিস্তানের বাহওয়ালপুরে অবস্থিত মাসুদের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির। কান্দাহার বিমান হাইজ্যাক থেকে ২৬/১১ মুম্বই হামলা, সংসদ হামলা সহ একাধিক ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ব্লু-প্রিন্ট যেখানে তৈরি হয়েছিল, ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয় সেই ঘাঁটি।
সে সময়ে মাসুদ আজহার দাবি করেছিল ‘অপারেশন সিঁদুরে’ তার পরিবারের ১৪ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে মাসুদ জাানিয়েছিল, এই অপারেশনে সে তার বড় দিদি, ভগ্নিপতি, ভাইপো, ভাইপো বধূ, ভাইঝি এবং পরিবারের পাঁচ শিশুকে হারিয়েছে। এর পরে মাসুদকে ১৪ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করে পাকিস্তান সরকার।
তবে সে সমস্ত তথ্য এড়িয়ে বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি বলেছেন, ‘মাসুদ আজহার পাকিস্তানের কোথায় আছে, ভারত জানাক। আমরা খুশি মনে গ্রেফতার করব তাকে। কিন্তু ভারত সরকার এই বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি।’
পাকিস্তান যদি মাসুদের ডেরা সম্পর্কে অবগত থাকে তাহলে ভারতের তথ্যের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে কেন, গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন এই জঙ্গিকে। সে প্রশ্নের জবাবে বিলাওয়াল বলেন, 'সন্ত্রাসপ্রতিরোধী সহযোগিতায় এক দেশ অন্য দেশকে জানায়। এ ভাবেই লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, পাকিস্তান বহু হামলা রুখে দিয়েছে।'
শুধু মাসুদ আজহার নয়, হাফিজ সইদকে নিয়েও মুখ খুলেছেন বিলাওয়াল। হাফিজ পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলেই দাবি করেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, পাক সরকারে তাকে নিরাপত্তাও দেয় বলে দাবি করা হয়। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে বিলাওয়াল বলছেন, ‘এটা ঠিক নয়। তথ্যগত ভাবে ভুল। হাফিজ সইদ পাকিস্তান সরকারের হেফাজতে রয়েছে। নিজের ইচ্ছা মতো দেশে ঘুরে বেড়ানোর অধিকার তার নেই।’