ঘূর্ণিঝড় রিমালের ল্যান্ডফল হবে মোংলার কাছে। আর ঠিক সেখানেই নৌকাডুবি। রবিবার ২৬ মে সকালে মোংলা নদীর ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিলেন। ভাগ্যবশত সকলেই সাঁতরে তীরে ওঠেন। প্রথম আলো সূত্রে খবর, তাঁদের সকলেই মোংলা ইপিজেডের একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। সকলে সাঁতারে পটু হওয়ায় বড়সড় অঘটন এড়ানো গিয়েছে।
শনিবার থেকেই মোংলাতে সতর্কতা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু সেই নির্দেশে আমল না দিয়েই প্রতিদিনের মতো নৌকা পারাপার চলছিল। জানা গিয়েছে, এই ধরণের নৌকাগুলিতে সাধারণত ১৫-২০ জন যাত্রী সর্বোচ্চ তোলা যায়। সেই নৌকাতেই তোলা হয়েছিল ৬০ জন যাত্রী। আর সেই কারণেই নৌকাটি ডুবে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই জানালেন মোংলা উপজেলার নির্বাহী আধিকারিক নিশাত তামান্না।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসাবে শনিবার রাত থেকে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামাসহ সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্দরে থাকা দেশি–বিদেশি ছয়টি জাহাজসহ জলযান নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান।
আপাতত মোংলা ও পশুর নদে ট্রলার ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এই মোংলার কাছেই ঘূর্ণিঝড় রিমালের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে শনিবার থেকেই এই এলাকাই মাইক নিয়ে প্রচার শুরু হয়। রবিবার দুপুর থেকে স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রবিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। তাই সন্ধ্যার মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে।