পোশাক টাইট, তাই খুন
আঁটসাঁট কাপড় পড়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন যুবতী। গুলি করে তাঁকে হত্যা করল তালিবানরা। আফগানিস্তানে নতুন করে পুরনো তালিবানি জমানা ফিরছে বলে আশঙ্কায় আতঙ্কে কাঁপছে সাধারণ মানুষ।
সঙ্গে পুরুষ নেই, বোরখা টাইট
আফগানিস্তানের বলক এলাকায় ২১ বছর বয়সী এক তরুণীর শুধুমাত্র এই কারণে খুন করে দেওয়া হল, কারণ তিনি টাইট পোশাক পড়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে কোনও পুরুষ সঙ্গী ছিলেন না। তালিবানের মুখপাত্র অবশ্য এই ঘটনায় তাদের দায়িত্ব স্বীকার করেছেন।
পুরনো তালিবানি জমানা ফিরছে
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা ফেরত নেওয়ার পর থেকে এখানে পুনরায় তালিবানিরা দৌরাত্ম্য তৈরি করেছে। এতদিন মোটামুটি চুপ থাকলেও, অবশেষে ফের নিজেদের স্বরূপ প্রকাশ করছে তালিবানরা। ওই তরুণী খুনের ঘটনায় নতুন করে তালিবানদের যে পুরনো রোগ সারেনি তা পরিষ্কার। রবিবার তাঁরা একটি তরুণীকে একা রাস্তায় বেরোনো এবং টাইট পোশাক পড়ে রাস্তায় বেরোনো অভিযোগে গুলি করে হত্যা করে।
বোরখা পড়েই ছিলেন, তবু হত্যা
রিপোর্ট অনুযায়ী এই ঘটনা উত্তর আফগানিস্তানের সমরকান্দিয়া এলাকার একটি গ্রামের। যেখানে পুরোপুরি তালিবানদের দখলে রয়েছে। পুলিশ প্রবক্তা আদিল আদিল শাহ আদিল জানিয়েছেন, ওই তরুণীর নাম নাজনিন। এবং তাঁর বয়স ২১ বছর। তিনি জানান, ওই তরুণী নিজের বাড়ি থেকে বলকের রাজধানী মাজার-শরীফে যাচ্ছিলেন। তিনি নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে বসেছিলেন। ওই সময় তাঁকে গুলি করে খুন করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায় ওই তরুণী বোরখা পড়েছিলেন। যদিও তালিবানরাই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তালিবানি অত্যাচার বাড়ছেই
আফগানিস্তানে তালিবানদের দখলদারি প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। আর ততই মহিলা এবং তরুণদের প্রতি তাঁদের অত্যাচার বেড়ে চলেছে। তালিবান মেয়েদের এবং মহিলাদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং উগ্রপন্থীরা তাঁদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে করছে।
তালিবানিদের হাত থেকে বাঁচাতে মেয়েদের লুকিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ
রবিবার দ্য মেইল পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তালিবানরা যখনই কোনও নতুন শহর বা এলাকায় কব্জা করতে চলেছে, সেখানে মসজিদ থেকে পুলিশকর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদের স্ত্রীদের এবং বিধবাদের তাদের সমর্থন করার ঘোষণা করছে। তালিবানদের বেড়ে চলা অত্যাচার এবং আতঙ্কে গোটা আফগানিস্তান ফের ভয়ের আবহে ঢুকে গিয়েছে। প্রত্যেকেই রাজধানী কাবুলের সুরক্ষিত জায়গায় বাড়ির মা-বোনেদের পাঠিয়ে দিচ্ছে। যাতে তাদের উগ্রপন্থীদের হাত থেকে বাঁচানো যায়।